চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন আভিষ্কা ফার্নান্দো ও পাথুম নিশাঙ্কা। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি তাসকিন আহমেদ। দিনের শুরুতেই নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছেন তাসকিন। তার ফুল লেংথের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফেরার আগে মাত্র ১ রান করেন নিশাঙ্কা। চতুর্থ ওভারে আভিস্কা ফার্নান্দোকে ফেরান এই ডানহাতি পেসার। মাত্র ৪ রান করে তাসকিনের বলে খোঁচা দিয়ে মুশফিকের তালুবন্দি হন তিনি।
প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে আক্রমণে এসে দ্বিতীয় বলেই সাফল্য পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। কাটার মাস্টারের ভেতরে ঢোকা বল সাদিরা সামারাবিক্রমার ব্যাট ছুঁয়ে বল গেছে মুশফিকের হাতে। ২ চারে ১৫ বলে ১৪ রান করে ফিরলেন তিনি।
ম্যাচের ১৮তম ওভারে সিরিজে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এলেন রিশাদ। উইকেটের দেখা পেলেন প্রথম বলেই! রিশালের বলে এগিয়ে খেলতে গিয়েই কট বিহাইন্ড লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস(২৯)। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি রিশাদের প্রথম উইকেট। রিশাদের পর লঙ্কান শিবিরে ফের মুস্তাফিজের আঘাত। ৫ চারে ৪৬ বলে ৩৭ রান করে ফিরলেন আসালাঙ্কা। তার বিদায়ে ভাঙল জানিথ লিয়ানাগের সঙ্গে গড়া ৪৩ রানের জুটি। এবার মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্থ হলেন দুনিত ভেল্লালাগে। সৌম্যের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ বল খেলে ১ রান। মিরাজের দ্বিতীয় শিকার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ফুল লেংথের বল খেলতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার আগে ৮ বলে ১১ রান করেন তিনি।
হাসারাঙ্গার বিদায়ের পর থিকসানাকে নিয়ে জুটি গড়েন লিয়ানাগে। অন্য ক্রিকেটাররা যেখানে আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত ছিলেন, সেখানে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। বাংলাদেশের আজ তিনি ৬৫ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। এই জুটির কল্যাণে বিপর্যয় কাটিয়ে ৪৫ ওভার ৪ বলে দলীয় ২০০ রান পূর্ণ করে শ্রীলঙ্কা। দলীয় ২১৪ রানে থিকসানাকে ফিরিয়ে ৬০ রানের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। এর পরেই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেয় লিয়ানাগে। ১০১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাসকিন। মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ ধরেন ২টি করে শিকার।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ ও রিশাদ হোসেন।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: আভিস্কা ফার্নান্ডো, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা (সহ-অধিনায়ক), জানিত লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিত ভেল্লালাগে, মহীশ থিকশানা, প্রমোদ মাদুশান ও লাহিরু কুমারা।