• শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

দ্বীপ দেশের নাগরিক লোটাস কামাল!

টিএন২৪ ডেস্ক ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৬:৩৮ পিএম

প্রশান্ত মহাসাগরীয় ছোট দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদের তালিকায় নাম তুলেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল।

৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিগত সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। আবার অনেকেই গা  ঢাকা দিয়েছেন। যারা গা ঢাকা দিয়েছেন তাদের অনেকেরই সন্ধান মিলছে, জানা যাচ্ছে পিলে চমকে দেওয়ার মতো নানা খবর। 

এবার জানা গেল সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামালের বৃত্তান্ত। প্রশান্ত মহাসাগরীয় ছোট দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদের তালিকায় নাম তুলেছেন সাবেক এই অর্থমন্ত্রী। গেল অক্টোবরে তিনি ভানুয়াতুর পাসপোর্ট কেনেন। তার আসল নাম আবু হেনা মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল নামেই দেশটির পাসপোর্ট নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

জানা যায়, দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতু গোল্ডেন পাসপোর্ট নামের এক স্কিমের আওতায় বিদেশিদের কাছে নাগরিকত্ব বিক্রি করে। এক লাখ ৩০ হাজার ডলারের বিনিময়ে এই নাগরিকত্ব কেনা যায়। মাত্র ১ মাসেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। এমনকি সরাসরি না গিয়েও দেশটির নাগরিকত্ব পেতে কোনো অসুবিধা হয় না। সেই সুযোগই নিয়েছেন লোটাস কামাল।

লোটাস কামালের মতো বিভিন্ন দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা ভানুয়াতুর নাগরিকত্বের সুযোগ নেন। দেশটির পাসপোর্টধারীরা যুক্তরাজ্য ও ইইউসহ ১৩০টি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করতে পারেন।

ভানুয়াতুকে করস্বর্গও বলা হয়। কারণ দেশটিতে আয়কর, কর্পোরেট কর অথবা সম্পদের ওপর কোনো কর নেই। ফলে দেশটি অর্থপাচারকারীদের কাছে এক আকর্ষণীয় গন্তব্য। আর সেই সুযোগই লুফে নিচ্ছেন লোটাস কামালের মতো ব্যক্তিরা।

উল্লেখ্য, কুমিল্লা-১০ আসনের পাঁচবারের এমপি লোটাস কামাল পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। ক্রিকেট সংগঠক হিসেবেও পরিচিতি আছে তার। কিন্তু সব পরিচয় ছাপিয়ে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ। তবে তার হাতেই দেশের অর্থনীতি পঙ্গুত্ব বরণ করেছে বলে সমালোচনা আছে। অভিযোগ রয়েছে, লোটাস কামাল শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন। মালয়েশিয়ায় কর্মী রপ্তানি সিন্ডিকেটের মাধ্যমেও হাতিয়েছেন বিপুল অর্থ। নিয়ন্ত্রণ করতেন আর্থিক ও ব্যাংক খাত। পেতেন তদবির, নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলি বাণিজ্যের কমিশন। নিজের ও স্বজনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন।

৫ আগস্ট সরকার পতনের আগেই চিকিৎসার অজুহাতে পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়েন লোটাস কামাল। গত ২২ আগস্ট কামাল, তার স্ত্রী কাশমেরি কামাল ও মেয়ে নাফিসা কামালের ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়।