সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কের এমন প্রানবন্ত ব্যাটিংবান্ধব পিচে এভাবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মত উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসতে এর আগে কেউ কখনো দেখেছে কিনা সন্দেহ আছে।
বাজে ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও ব্যর্থ টাইগাররা। ব্যাটিং-বোলিং ব্যর্থতায় দীর্ঘ দশ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
বর্তমান আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট আর ছোট বাউন্ডারির মাঠে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান আহামরি কিছু নয় সেটা প্রথম ম্যাচেই দেখিয়ে দিয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছুঁয়ে ফেলেছিলো ৫ উইকেট আর ১৪ বল হাতে রেখেই।
তবে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে গতকালরাতে লড়াই করার মত পুঁজিও তৈরি করতে পারলনা বাংলাদেশ।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৬৪ রানের ভেতর চার উইকেটের পতন হয় টাইগারদের। এরপর ১শ থেকে ১১৫ রানের মধ্যে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে দুশোর আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ।
অষ্টম উইকেট জুটিতে অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ ও পেসার তানজিম হাসান সাকিবের রেকর্ড ৯২ রানের জুটি না গড়লে ২২৭ রানও সম্ভব ছিলোনা।
আট নম্বরে নেমে তানজিম করেন মহামুল্যবান ৪৫ রান। আর মাহমুদুল্লাহ করেন সর্বোচ্চ ৬২ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার জেইডেন সিলেস ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের বড় স্কোরের আশা শেষ হয়ে করে দেন।
সেন্ট কিটসের উইকেটে এই রানকে মামুলি বানিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা অনায়াসেই ৭৯ বল বাকী রেখে স্পর্শ করে ফেলে।
ফলে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে এক ম্যাচ বাকী থাকতেই সিরিজ হারল মেহেদি হাসান মিরাজের দল। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিলো মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দলটি। এমন হারের কারণ হিসেবে ইনিংসের মাঝে বাজে ব্যাটিং পারফরমেন্সকে দুষলেন মিরাজ। ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন, ‘মাঝের ওভারগুলোয় আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। বড় কোন জুটি হয়নি আমাদের। একের পর এক উইকেট পড়েছে। মাহমুদুল্লাহ ও সাকিব (তানজিম) ভালো খেলেছে। কিন্তু ভুল আমাদেরই হয়েছে। সিলেসরা ভালো বল করেছে।’
এদিন বাংলাদেশের বোলারাও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কোন প্রকার চাপে ফেলতে পারেনি। উল্টো প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৪ রান তুলেছিলো ক্যারিবীয়রা। তবে মিরাজের মতে বোলাররা ভালো বল করেছে, ‘প্রথম ১০ ওভারে আমরা ভালো বোলিং করেছি, বিশেষ করে আমাদের সেরা বোলার রানা। এই উইকেটে এমন স্কোর ডিফেন্ড করা বোলারদের জন্য কঠিন।’