দীর্ঘ অপেক্ষা ফুরিয়ে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসার কথা রয়েছে। তবে ভারত টুর্নামেন্ট খেলতে দেশটিতে যাবে না বলে একক আয়োজক সত্ত্ব হারানোর শঙ্কায় পড়েছে পাকিস্তান। যা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার কথা ছিল আইসিসির সভায়।
পুরো ক্রিকেটবিশ্ব যখন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার দিকে তাকিয়ে, তখন পরপর দুটি সভা স্থগিত করেছে আইসিসি। গত ২৯ নভেম্বর মাত্র ১৫ মিনিটেরও কম সময়ের মাঝে বোর্ড সভা পণ্ড হয়ে যায়। জয় শাহ আইসিসির সভাপতি হওয়ার পর তার অধীনে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সভা হওয়ার কথা ছিল। যার জন্য বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি দুবাই আইসিসির কার্যালয়ে হাজির ছিলেন। কিন্তু স্থগিত হয়ে গেছে আজকের সভাও।
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করতে হলে, ‘পার্টনারশিপ’, ‘ফিউশন’ বা সমতা ফর্মুলা চালুর দাবি জানান পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি। ফর্মুলা অনুযায়ী— ভারতের মাটিতে হতে যাওয়া আসন্ন বৈশ্বিক আসরগুলোও হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করতে হবে। অর্থাৎ, পাকিস্তানও আর ভারতে খেলতে যাবে না, তাদের ম্যাচ হতে হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। যা মানতে হবে পরবর্তী তিন বছর পর্যন্ত।
আগামী বছর নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ রয়েছে ভারতে, এরপর ২০২৬ সালে পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক যৌথভাবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ২০২৫ পুরুষ এশিয়া কাপের আয়োজকও ভারত। পাকিস্তানের দাবি মানলে, এসব টুর্নামেন্ট আয়োজনে ভারতের একক সত্ত্ব থাকবে না। এর আগে বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজিব শুক্লা জানান, সরকার চায় না বলেই পাকিস্তানে দল পাঠানো হবে না।