আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিলেন বাংলাদেশের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত। এতদিন সৈকত ছিলেন আইসিসির আন্তর্জাতিক আম্পায়ার প্যানেলে। নির্বাচক কমিটির বার্ষিক মূল্যায়ন শেষে সৈকতের পদোন্নতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে।
আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিলেন বাংলাদেশের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত। এতদিন সৈকত ছিলেন আইসিসির আন্তর্জাতিক আম্পায়ার প্যানেলে। নির্বাচক কমিটির বার্ষিক মূল্যায়ন শেষে সৈকতের পদোন্নতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশে যে কয়েকজন আম্পায়ারিং করে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ সৈকত। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার যিনি আইসিসির এলিট আম্পায়ার প্যানেলে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। ২০০৬ সাল থেকে আন্তর্জাতিক প্যানেলে থাকলেও ২০১০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিংয়ের অভিষেক হয় সৈকতের।
আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার পর সৈকত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়া অনেক সম্মানের। নিজের দেশ থেকে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্যানেলে জায়গা পাওয়া সত্যিই অনেক বিশেষ কিছু। বছরের পর বছর ধরে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আগামী অ্যাসাইনমেন্টগুলোর জন্য যে চ্যালেঞ্জ আছে, তার জন্য প্রস্তুত। আইসিসি ও বিসিবিকে ধন্যবাদ আমাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য। যেসব সহকর্মীরা আমার পাশে থেকতে আমার পরিবার ও বন্ধুদের ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।’
সৈকত এখন পর্যন্ত পুরুষদের ক্রিকেটে ১০টি টেস্ট, ৬৩টি ওয়ানডে, ৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ারিং করেছেন তিনি। নারীদের ক্রিকেটে ১৩টি ওয়ানডে ও ২৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও আম্পায়ার ছিলেন সৈকত। নারীদের ২০১৭, ২০১৮ ও ২০২১ বিশ্বকাপসহ পুরুষদের সবশেষ ২০২৩ বিশ্বকাপেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
এমিরেটস আইসিসি এলিট প্যানেল অফ আম্পায়ার
কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটলবরো (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), আহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ (বাংলাদেশ), রডনি টাকার (অস্ট্রেলিয়া) এবং জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।