প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে আজ শেষবারের মত মাঠে নেমেছিলেন এক সময়ের বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) জয় দিয়েই শেষ হলো ফরহাদের প্রায় ১৯ বছরের প্রথম শ্রেনীর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। প্রথম শ্রেণিতে ১৪৪ ম্যাচে ৫,০০০ এর বেশি রান সাথে ৩১৫ উইকেট। কিন্তু যতটা সম্ভাবনা নিয়ে শুরু করেছিলেন ততোটা আলো কাড়তে পারেননি পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে। শেষবার জাতীয় দলের জার্সিতে তাকে দেখা গিয়েছিলো প্রায় ১০ বছর আগে। তবে এবার প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ৩৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
তবে বিদায় বেলায় এসে তিনি পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সম্মাননা ও সতীর্থদের ভালোবাসা। এর আগে সোমবার মাঠের বাইরে সতীর্থ, মাঠের ভেতরে প্রতিপক্ষ সিলেটের খেলোয়াড়দের গার্ড অব অনার পেইয়েছিলেন রাজশাহী দলের ফরহাদ রেজা।
জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) টানা ছয় রাউন্ডে রাজশাহীর একাদশে সুযোগ হয়নি এই অলরাউন্ডারের। শেষ রাউন্ডে নিরুত্তাপ ম্যাচ হওয়ায় তাঁকে মাঠ থেকে বিদায়ের সুযোগ দেয় টিম ম্যানেজেন্ট।
তবে ব্যাট বল হাতে বিদায়টা সুখকর হয়নি ফরহাদের। প্রথম ইনিংসে ৭ রান করা ফরহাদ দ্বিতীয় ইনিংসে দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফিরেছেন ‘গোল্ডেন ডাকে। তবে সেটা রাজশাহীর জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি।
আগের দিনই ১৪২ রানের মধ্যে সিলেট বিভাগের ৮ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের পথটা সহজ করে রেখেছিল রাজশাহী বিভাগ। জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডের শেষ দিন সকাল বেলাতেই দ্রুত ২ উইকেট তুলে নিয়ে ৫৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রাজশাহী।
এদিকে রাজশাহীর জয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হলো সিলেটের।
নাবিল সামাদ ২ ও সফর আলী ৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাটিং শুরু করেছিলেন। তবে নাবিলকে ইনিংস বড় করতে দেননি রাজশাহীর ফিল্ডাররা। সিলেট বিভাগের এই ব্যাটার রান আউট হয়েছেন। এরপর নাইম আহমেদ ২ রান করে নহিদা উজ্জামানের শিকার হলে হার নিশ্চিত জয় সিলেটের।
এর মধ্যে দিয়ে নিহাদ ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ম্যাচ শেষ করেছেন ২৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। এ ছাড়া পেসার শফিকুল ইসলাম নিয়েছেন ৩টি উইকেট। আর একটি উইকেট গেছে মেহরব হোসেনের ঝুলিতে। ২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা সিলেটের রানের অর্ধেকই করেছেন অধিনায়ক অমিত হাসান।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়েছিল ফরহাদের। ১৪৪ ম্যাচে ২২৫ ইনিংসে ৩০.২৭ গড়ে রান করেছেন ৫৯০৪ রান। ৩৩টি ফিফটির সঙ্গে আছে ৭টি সেঞ্চুরি। বল হাতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩১৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি ডান হাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করে। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৯ বার।