• শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

টাইগার ক্রিকেটারদের প্রশংসায় ভাসালেন ফিল সিমন্স

স্পোর্টস ডেস্ক ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৪:১৯ পিএম

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। এমন জয় কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে সিমন্সকে। টাইগার ক্রিকেটারদেরও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি।

নানা নাটকীয়তায় গত অক্টোবরে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেন ফিল সিমন্স। তবে প্রথম অ্যাসাইন্টমেন্টেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। এরপর আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হার। তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও প্রথম টেস্টে ২০১ রানে হারতে হয় টাইগারদের। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে ফিল সিমন্সের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি।

অবশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। এমন জয় কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে সিমন্সকে। টাইগার ক্রিকেটারদেরও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি। 

কিংস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৮ রান করে টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ ও দ্বিতীয় ১৮৫ রানে অলআউট করে তাসকিন-নাহিদরা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১০১ রানের জয় পায় টাইগাররা। 

 ম্যাচশেষে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খেলোয়াড়দের এমন মানসিকতার প্রশংসা করে সিমন্স বলেছেন, ‘ব্যাটসম্যানদের ইতিবাচক মানসিকতা আমার ভালো লেগেছে। প্রথম কয়েক ম্যাচে ওদের শুধু টিকে থাকার মানসিকতা ছিল। এই টেস্টে তৃতীয় দিনে দেখেছেন ওরা বলছে- “আমিও খেলতে এসেছি”। 

 ‘আমার এটা খুব ভালো লেগেছে ও উপভোগ করেছি। ওরা যেন বুঝতে পারে, এখন থেকে এটাই খেলার একমাত্র ধরন, সেটা আমি নিশ্চিত করেছি। এই জয়ের জন্য অনেক তরুণ ক্রিকেটার অপেক্ষা করছিল। প্রথম ম্যাচে হারার পর এভাবে ফিরে আসা দেখতে ভালো লাগছে। আমার জন্য দারুণ আনন্দের।’ 

 ২০০৯ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে এটিই টাইগারদের প্রথম টেস্ট জয়। এই সিরিজের আগে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চারটি টেস্টে খুব বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। এমন এক জয়ে সবাই যার যার জায়গা থেকে অবদান রেখেছেন। 

 সিমন্স বলেন, ‘জাকের টানা ৩ টেস্টে ফিফটি করেছে। সুতরাং ও নিজের খেলাটা বোঝে। ও সব বোলারদের বিপক্ষেই দাপট দেখাতে পারে, এটাও আমরা দেখেছি। ও এখান থেকে যা পেয়েছে, সব নেওয়া উচিত। এবার যেমন হয়েছে প্রতিবার এটা হবে না।’ 

 সিমন্স আরও বলেছেন, ‘মেহেদীকে নিয়েও আমি মুগ্ধ। তড়িঘড়ি করে ওকে নেতৃত্ব নিতে হয়েছে। ও দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে, চালিয়ে যাচ্ছে। মেহেদী ও তাইজুল একে অপরকে পরিপূর্ণ করেছে। মেহেদী সোজা ও কিছুটা জোরের ওপর বোলিং করে, যেখানে তাইজুল নিজের ভ্যারিয়েশন ব্যবহার করে। তাইজুল স্টাম্প বরাবর বোলিং করতে পছন্দ করে, প্রথাগত বলের চেয়ে আর্ম বল বেশি করে। মনে হচ্ছে, প্রতি ম্যাচেই ওর উন্নতি হচ্ছে। প্রতিটি সেশনে আপনি ওর বোলিংয়ে নতুন ভাবনা দেখতে পাবেন।’