ইংল্যান্ডের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ১৪ ওভারেই ১৮৫ রান তুলে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে জয়ের জন্য পরবর্তী ৬ ওভারে তাদের বলের চেয়েও কম ৩৪ রান প্রয়োজন ছিল। এই অবস্থায়–ও এক ওভার হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে রভম্যান পাওয়েলের দল। ৫ উইকেটের জয়ে তারা সিরিজে ২-২ সমতা ফিরিয়েছে।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা ইংলিশদের সংগ্রহ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৮ রান। জ্যাকব বেথেল ও ফিল সল্ট ঝোড়ো ফিফটি করেছেন। ইংলিশরা এই ম্যাচ জিতলেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যেত। তবে সমতা ফিরিয়ে শেষ ম্যাচটিকে অঘোষিত ফাইনালে পরিণত করল ক্যারিবীয়রা। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংলিশরা কাঙ্ক্ষিত শুরুই পায় দুই ওপেনার সল্ট–উইল জ্যাকসের কল্যাণে। ৫ ওভারেই দুজন মিলে তোলেন ৫৪ রান। আলজারি জোসেফের বলে জ্যাকসের (১২ বলে ২৫) বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক জস বাটলার ও সল্ট ৪৮ রান যোগ করেন দলীয় খাতায়।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এদিনও ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন সল্ট। ৩৫ বলে ৫টি চার ও ৪ ছক্কায় তিনি ৫৫ রান করেন। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সেটল হওয়া বাটলারও ফিরেছেন ৩৮ রানে। ২৩ বলে তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। ইংল্যান্ডের বড় পুঁজি আসে তরুণ বেথেলের ব্যাটে। বাঁ-হাতি এই অপরাজিত ব্যাটার ৩২ বলে ৪টি চার ও ৫ ছক্কায় করেন ৬২ রান। এছাড়া স্যাম কারান শেষদিকে ১৩ বলে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। ক্যারিবীয় স্পিনার গুদাকেশ মোতি নেন ২ উইকেট।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা যেমন প্রয়োজন ছিল সেভাবেই ব্যাট করেছেন দুই উইন্ডিজ ওপেনার এভিন লুইস ও শাই হোপ। দুজনেই ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করেছেন। উদ্বোধনী জুটিতে তুলেছেন ১৩৬ রান। সেটাই মূলত স্বাগতিকদের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। রেহান আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে লুইস ৩১ বলে ৪টি চার ও ৭টি ছক্কায় করেন ৬৮ রান। রানআউটের ফাঁদে আটকানো হোপ করেন ৫৪ রান। মাত্র ২৪ বলে ডানহাতি এই ব্যাটার ৭ চার ও ৩ ছক্কার বাউন্ডারি মেরেছেন।