ব্রণ একটি সাধারণ কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ত্বকের রোগ। বয়স, লিঙ্গ, আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন কারণে ব্রণ হয়। ত্বকের খুব সাধারণ এই সমস্যা দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
দৈনন্দিন কিছু নিয়ম মেনে চললে ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন। তা হলো-
১. মুখে ব্রণ থাকলে ত্বক দিনে অন্তত দুইবার পরিষ্কার করতে হবে। এতে ছিদ্রগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। মুখ থেকে অতিরিক্ত সিবাম এবং ধুলা-ময়লা দূর হয়।
২. ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য সঠিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। তৈলাক্ত ব্রণ প্রবণ ত্বকের ব্যক্তিদের লাইটওয়েট ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এতে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন হয় না।
৩. একটি ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ত্বককে সূর্য এবং দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু যাদের ত্বকে খুব ব্রণ হয় তারা ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন বা জেল-ভিত্তিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। জেলভিত্তিক সানস্ক্রিন খুবই লাইটওয়েট হয়, যা আপনি আপনার মেকআপের ভিত্তি হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
৪. মেকআপ ব্রাশ, মেকআপ স্পঞ্জ অপরিষ্কার থাকলে এবং অনেক দিন ধরে সেগুলো ব্যবহার করলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা আরও বেশি থাকে। তাই নোংরা ব্রাশ, স্পঞ্জ ভালো করে পরিষ্কার করে রাখুন। না হয় ময়লা ব্রাশ, স্পঞ্জে থাকা ব্যাকটেরিয়া আপনার ত্বকে আরও বেশি ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।
৫. ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেকআপ অপসারণ এবং ত্বক পরিষ্কার করুন। রাতে মেকআপ করে রাখলে ত্বকের ছিদ্রগুলো আটকে যেতে পারে এবং ব্রণ-পিম্পল হতে পারে। রাতে মেকআপ অপসারণ বা মুখ পরিষ্কার করা কেবল ব্রণের হাত থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে না, পাশাপাশি আপনার ত্বককে সুস্থ, পরিপুষ্ট এবং সতেজ রাখে।
৬. ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে বলে তা খুব সহজে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এই কারণেই পনির, দুধ এবং দই কম খান।
৭. কোল ড্রিংকস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন।
৮. খুব বেশি পরিমাণে পানি খান। দিনে যদি দু লিটার পানি খেতে পারেন তা আপনার স্বাস্থ্য এবং ত্বকের ক্ষেত্রে ফলদায়ক হবে।