স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বাড়াতে মস্তিষ্কের ব্যায়াম খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এ ধরনের ব্যায়াম মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোকে উদ্দীপ্ত করে তোলে যা কমিয়ে ফেলে মানসিক অবসাদ। একজন মানুষের মনোযোগ ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে মস্তিষ্কের এমন ৯টি ব্যায়াম নিচে তুলে ধরা হলো। প্রতিদিন চর্চার মাধ্যমে আপনিও আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারেন।
ধ্যান: মেডিটেশন বা ধ্যান মানসিক চাপ কমায়। মনোসংযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। সুন্দরভাবে বসুন, চোখ বন্ধ করুন এবং নিঃশ্বাস অথবা মন্ত্রে মনোযোগ দিন। এটা সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ১০ থেকে ২০ মিনিট ধরে করুন।
প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিন: এই ব্যায়াম মনকে শান্ত করে। শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায় যা মনোসংযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। গভীরভাবে চার সেকেন্ড শ্বাস নিন, এবার চার সেকেন্ড ধরে রাখুন। এটা দিনের যেকোনো সময় করা যেতে পারে, বিশেষ করে যখন কোনো ধরনের চাপের মাঝে থাকবেন।
সুডোকু: বিভিন্ন ধরনের খেলা যেমন, সুডোকু, ক্রস-ওয়ার্ড বা শব্দ মেলানো খেলাগুলো স্মৃতিশক্তি ও সমস্যা সমাধান আপনার সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সময়কে ভাগ করে নিন। পর্যাপ্ত সময় নিন, কোথাও যাওয়ার পথে অথবা অবসর সময়ে এটা খেলতে পারেন।
ভিজ্যুয়ালাইজিং অনুশীলন: ঘুমানোর আগে ৫ মিনিট সারাদিনে কী কী করেছেন মনে করার চেষ্টা করুন। এটা আপনার কল্পনাশক্তি ও মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা বাড়াবে। একটি স্থান, বস্তু অথবা কোনো ঘটনা স্পষ্টভাবে কল্পনা করুন।
নতুন কিছু শিখুন: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট সময় নতুন কিছু শেখার জন্য ব্যয় করুন। এটা মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করে স্নায়ুর সংযোগগুলো সচল করে।
শরীরচর্চা: প্রতিদিন সকালে ২০ থেকে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করুন। এজন্য দৌড়ানো বা ইয়োগা করতে পারেন।
মস্তিষ্কের ব্যায়ামের অ্যাপস: মাথা খাটাতে হয় এমন অ্যাপস ব্যবহার করুন। প্রতিদিন অবসর সময়ের অন্তত ১৫ মিনিট এ কাজে ব্যয় করুন। এটি স্মৃতিশক্তি, যুক্তি ও মনোযোগ বাড়াবে।
পড়ুন, মনে করুন: রাতে ঘুমানোর আগে অথবা পড়াশোনার সময়ে এটা অনুশীলন করুন। একটি গল্প বা বিষয় পড়ুন। তারপর সেটা নিজের ভাষায় বলুন। এটা আপনার অনুধাবন ক্ষমতা ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
স্মরণীয় ঘটনাগুলো লিখে রাখুন: প্রতিদিন আপনার ভালো লাগা তিনটি বিষয় লিখে রাখুন। এটা প্রতিদিন সন্ধ্যায় করুন। এতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।
পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিরাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান। একটি আরামদায়ক ঘুমানোর রুটিন মেনে চলুন। শান্ত পরিবেশে ঘুমান।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া