অনেকেরই ঘুমের সমস্যা আছে। তারা প্রায়ই অভিযোগ করেন, যথেষ্ট সময় ধরে ঘুম হচ্ছে না বা ঘুমের তৃপ্তি হচ্ছে না। অনিদ্রা বা ইনসোমনিয়া চিকিৎসার জন্য মানুষ বেশ অস্থির হয়ে পড়েন। অনেকে মূল সমস্যার সমাধান না করে নানা টোটকা ওষুধ আর দাওয়াইনির্ভর হয়ে পড়েন। এ জন্য অনিদ্রার কারণটি জানা জরুরি। প্রতিদিনের অনেক সাধারণ বিষয় আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। রাতে ভালো ঘুমের জন্য কী করবেন-
১. সব চিন্তা থেকে দূরে রাখুন। শোয়ার আগে সারা দিনে কী কী হলো, কে আপনাকে কী বলল এসব একদম ভাববেন না। নিজের সঙ্গে একটু সময় কাটান। ঘুমানোর ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে কফি পান করবেন না। কফি পান করলে ঘুমে সমস্যা হয়।
২. সারা দিনের ব্যস্ততায় শরীর অনেক ক্লান্ত থাকে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করে নিতে পারেন। এতে ক্লান্তি ধুয়ে যাবে। খুব জোরালো কোনো আলো, যেমন এলইডি আলোর দিকে তাকাতে যাবেন না।
৩. ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে থেকেই দূরে রাখুন মোবাইল, টিভি থেকে থেকে শুরু করে যাবতীয় ইলেকট্রনিক জিনিস। কারণ এই ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে যে রেডিয়েশন হয় তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
৪. বাদাম বা দই খেতে পারেন ঘুমের আগে। এটা মেলাটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে। এ ছাড়া মিষ্টি আলু, কলা, মধু, স্যুপ খেতে পারে- এসব খাবার ঘুমাতে সাহায্য করে।
৫. দীর্ঘদিন ধরে ঘুমে সমস্যা হলে শরীরে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। সেইসঙ্গে শারীরবৃত্তীয় কাজেও সমস্যা শুরু হয়। তাই ভালো ঘুমের জন্য যোগব্যায়াম করতে পারেন। এ ছাড়া ঘুমের ১০-১৫ মিনিট আগে অল্প মেডিটেশন করতে পারেন। এতে আপনার স্নায়ুগুলো রিল্যাক্স হবে এবং আপনি নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাতে পারবেন।
৬. ঘরে লাল আলো জ্বালাতে পারেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, ঘুমানোর সময় ঘরে আলো জ্বালানোর প্রয়োজন নেই। কারণ সামান্য আলোও ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তবে আলো যদি জ্বালাতেই হয় তাহলে লাল আলোই সবচেয়ে ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, লাল আলো মেলাটোনিন নিঃসরণ বাড়ায়। এটি ঘুমাতে সাহায্য করে।