আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ। কেউ কেউ ইতিবাচক মনোভাবের হলেও, অনেকেই নেতিবাচক। নেতিবাচক মানুষের সান্নিধ্য কিন্তু সুখকর হয় না। আবার নেতিবাচক মনোভাবাপন্ন মানুষ আপনার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে। আপনার সব এনার্জি শুষে নিতে পারে। তাই কর্মক্ষেত্র কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে যাদের সঙ্গে চলাফেরা করেন, তারা নেতিবাচক মানুষ কিনা তা জেনে নেওয়া দরকার। নেতিবাচক মানুষের কিছু লক্ষণ জেনে নিন।
হতাশাবাদী
নেতিবাচক মানুষেরা হতাশাবাদী হয়ে থাকেন। তারা কোথাও কোনো সম্ভাবনা দেখতে পান না। যেকোনো বিষয়ে সবসময় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেন। হতে পারে আপনি রান্না করে তার জন্য নিয়ে গেছেন। সে আপনার প্রচেষ্টার মূল্যায়ন না করে বরং বলবে লবণ কম হয়েছে, ঝাল বেশি হয়েছে ইত্যাদি।
দুশ্চিন্তাগ্রস্ত
নেতিবাচক মানুষেরা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়। সবকিছুরই ইতিবাচক আর নেতিবাচক দিক থাকে। নেতিবাচক মানুষগুলোর সামনে যেন নেতিবাচক দিকগুলোই বেশি করে ফুটে ওঠে। কারণ তারা নেতিবাচক বিষয়গুলোতে বেশি ফোকাস করেন। দেশ, পরিবার, সন্তান, আত্মীয় এমনকি নিজেকে নিয়েও দুশ্চিন্তার অতল সাগরে ডুবে থাকেন। এ ধরনের মানুষ তার পাশের মানুষদের চিন্তা ভাবনাকেও প্রভাবিত করে।
অভিযোগের শেষ নেই
যদি কোনো সহকর্মীকে দেখেন সব বিষয়ে অভিযোগ করছেন, তাহলে বুঝে নেবেন তিনি একজন নেতিবাচক মানুষ। অফিসের নতুন বস, নতুন কাজ, নতুন সেট আপ কিংবা পুরোনো সহকর্মী ইত্যাদি সবকিছু নিয়েই এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে্ন এবং প্রকাশ করেন। এমনকি দেশ, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংসার, ধর্ম সবকিছুতেই তার অভিযোগ থাকবে।
নতুন অভিজ্ঞতাকে 'না'
নেতিবাচক মানুষ নতুনকে সাদরে গ্রহণ করতে পারেন না। ভয় পান। এমনকি অন্যদেরও নানা আশঙ্কা আর ঝুঁকির কথা বলে নতুনত্ব গ্রহণে বাধা দেন। অর্থাৎ নেতিবাচক মানুষেরা বিভিন্ন নেতিবাচক ধারণায় নিজেদেরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখেন।
অসুখী
নেতিবাচক মানুষেরা সুখী হতে পারেন না। কেননা সুখী হতেও তাদের কেমন যেন ভয় হয়। আর সবকিছুতেই যে বা যিনি নেতিবাচকতা খুঁজে পান, সে বা তারা কীভাবে সুখী হবে বলুন? তাদের সন্তুষ্ট করা খুবই কঠিন কাজ।
ব্যর্থ
নেতিবাচক মানুষেরা সাধারণত সফল হন না। কেননা, সফলতার জন্য যে ঝুঁকি নেওয়া প্রয়োজন, তা তারা নিতে পারেন না। সফলতার জন্য যে ইতিবাচক শক্তি, মনোভাব ও উদ্যমের প্রয়োজন হয়, তা তাদের নেই। আবার এমনও আছেন কর্মক্ষেত্রে মোটামুটি সফল কিন্তু নিজের কাজের প্রতি সন্তুষ্ট নন। তাদেরও সফল ও সুখী বলা যায় না।