• শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

চুল ঘন, কালো ও মজবুত করতে যে খাবার খাবেন

টিএন২৪ ডেস্ক ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০২:৩২ পিএম

আমাদের চুলের ধরন মূলত আমাদের জেনেটিক্সের ওপর নির্ভর করে, তবে সঠিক যত্ন নিলে কাঙ্ক্ষিত চুল পাওয়া সম্ভব হতে পারে।

লম্বা এবং ঝলমলে চুল সবারই স্বপ্ন। আমাদের চুলের ধরন মূলত আমাদের জেনেটিক্সের ওপর নির্ভর করে, তবে সঠিক যত্ন নিলে কাঙ্ক্ষিত চুল পাওয়া সম্ভব হতে পারে। অনেকে চুলের যত্নে নানা ধরনের ক্যামিকেল যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। সেগুলো সাময়িক সুবিধা দিলেও দীর্ঘমেয়াদে চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হতে পারে প্রাকৃতিক প্রতিকার বেছে নেওয়া। চুল লম্বা হতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবারের নাম ও কার্যকারিতা চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. পালং শাক

পালং শাক পুষ্টিসমৃদ্ধ সবুজ শাক যা স্বাস্থ্যকর চুলের উন্নতির জন্য চমৎকার কাজ করে। এতে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ফোলেট, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। আয়রন মাথার ত্বকে রক্ত ​​​​সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে। এর ফলে চুলের ফলিকল প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং পুষ্টি গ্রহণ করে। ভিটামিন এ সিবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, যা মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করে এবং স্বাস্থ্যকর রাখে, চুলের শুষ্কতা এবং ভাঙা প্রতিরোধ করে।

২. ডিম

ডিম বায়োটিনের একটি চমৎকার উৎস। এটি একটি বি-ভিটামিন যা চুলের বৃদ্ধিতে কাজ করে। বায়োটিন কেরাটিন উৎপাদনে সহায়তা করার জন্য পরিচিত। এই প্রোটিন চুল, ত্বক এবং নখ তৈরি করে। ডিমও উচ্চ মানের প্রোটিন দিয়ে পরিপূর্ণ, যা চুলের গঠন এবং শক্তির জন্য অত্যাবশ্যক। এছাড়াও ডিমে জিঙ্ক, আয়রন এবং সেলেনিয়াম রয়েছে, যা চুলের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।

৩. মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ, যা শরীর ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত করে। ভিটামিন এ মাথার ত্বকে স্বাস্থ্যকর সেবাম উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা চুলকে পুষ্ট করে এবং চুলকে শুষ্ক ও ভঙুর হতে বাধা দেয়। বিটা-ক্যারোটিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য চুলের ফলিকলকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৪. বাদাম এবং বীজ

বাদাম এবং বীজ, বিশেষ করে আখরোট, বাদাম, চিয়া বীজ এবং ফ্ল্যাক্সসিড পুষ্টিতে পূর্ণ যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এগুলো ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা মাথার ত্বকে রক্ত ​​সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। জিঙ্ক চুলের ফলিকল এবং বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। আখরোট এবং ফ্ল্যাক্সসিডে পাওয়া ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাথার ত্বকের প্রদাহ কমাতে কাজ করে।

৫. গাজর

গাজর বিটা-ক্যারোটিনের একটি বড় উৎস, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, ভিটামিন এ সিবাম উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে মাথার ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে, যা প্রাকৃতিকভাবে চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং পুষ্টি দেয়। এছাড়াও গাজর বায়োটিন সরবরাহ করে, এটি একটি মূল পুষ্টি যা চুলের বৃদ্ধি এবং শক্তি বৃদ্ধি করে।