আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যত নির্ধারণ হবে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর)। জরুরি মিটিংয়ের ডাক দিয়েছে আইসিসি। ভার্চুয়াল সভায় আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলিসহ উপস্থিত থাকবেন পূর্ণ সদস্য ১২ দেশের বোর্ড প্রধানরা। ভোটাভুটিতে নির্ধারণ হবে এই ইভেন্টের ভেন্যু। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই মিটিংয়ের কথা বলা হলেও, পিসিবি বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। পাকিস্তানি গণমাধ্যমের খবর এমন কোনো মিটিংয়ের কথা জানে না পিসিবি।
আসর শুরু হতে বাকি ৩ মাসেরও কম সময়। কিন্তু এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক নিয়ে কাটেনি ধোঁয়াশা। বরং দিন দিন তা আরও জটিল হচ্ছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এই অচলাবস্থার মূল কারণ ভারতের গোয়ার্তুমি। পাকিস্তানে দল পাঠাতে চায় না তারা। অন্যদিকে এশিয়া কাপের মত হাইব্রিড মডেলে এই ইভেন্ট আয়োজন করতে চায় না পিসিবি। এই ইস্যুতে আইসিসির দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় তাদের অবস্থানও প্রশ্নবিদ্ধ। ভারতকে আইসিসি সমর্থন করছে, এমনটাও বলছেন অনেকে। কারণ এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সূচি ঘোষণা করা হয়নি।
সমস্যা সমাধানে অবশেষে উদ্যোগ নিয়েছে আইসিসি। তবে এখানেও ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, মঙ্গলবার এক জরুরি মিটিংয়ের ডাক দিয়েছে বিসিসিআই ও আইসিসি। ভার্চুয়াল সভায় আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলিসহ উপস্থিত থাকবেন পূর্ণ সদস্য ১২ দেশের বোর্ড প্রধানরা। মোট ১৭ জনের উপস্থিতিতে হবে ভোটাভুটি। সেখানেই নির্ধারণ হবে কোথায় অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে মজার বিষয় হলো, পিসিবি বলছে এই মিটিংয়ের বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। যার কারণে আদৌ এই মিটিং হবে কি না সেটা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
পিসিবি নিজেদের অবস্থানে অনড়। ১৩'শো কোটি পাকিস্তানি রুপি দিয়ে তারা আসরের তিন প্রস্তাবিত ভেন্যু সংস্কার করছে। যে কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। নিজেদের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন না করতে পারলে বড় অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে তারা। গণমাধ্যমে গুঞ্জন, হাইব্রিড মডেলে ভারত তাদের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলতে চায়। কিন্তু নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিসিবির একজন মুখপাত্র বলেছেন, কোনোভাবেই তারা হাইব্রিড মডেলে আসর আয়োজন করবে না।
বিসিসিআইয়ের পক্ষ নিয়ে আইসিসি-ও কিছুটা বিপাকে। ভেন্যু পরিবর্তন করলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করবে পিসিবি। আর পাকিস্তান এই ইভেন্ট না খেললে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। শেষ পর্যন্ত সেটা হলে আইনি লড়াইয়ে যাবার হুমকি দিয়েছে ব্রডকাস্টাররা।