• শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

গালি দেওয়া সম্পর্কে ইসলামে যা বলা হয়েছে

টিএন২৪ ডেস্ক ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০২:৪৭ পিএম

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত। মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে (সুরা আল ইমরান ৩: ১১০)।

ইসলাম ধর্মে মানবতার কল্যাণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। ইসলামের মৌলিক বাণীই হল শান্তি, সম্প্রীতি ও অপরের কল্যাণ কামনা।  

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত। মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে (সুরা আল ইমরান ৩: ১১০)।

আল্লাহ ও রাসুলকে গালি দেওয়া কুফরি : মহান আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলকে গালমন্দ করা, তাঁদের ব্যাপারে খারাপ মন্তব্য করা, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ বা কটাক্ষ করা বড় কুফরি। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে গালি দেওয়া ও তাঁদের সঙ্গে উপহাস করা মূলত তাদের কষ্ট দেওয়া। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ ও তার রাসুলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশাপ করেন এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অপমানজনক শাস্তি।’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৫৭)

ঈমানদারদের গালি দেওয়া ফাসেকি :  যৌক্তিক বা অযৌক্তিক কোনো ভাবেই কাউকে গালি দেওয়ার অনুমতি ইসলামে নেই।

এমনকি হাসি-কৌতুক ও ঠাট্টাচ্ছলেও অন্যকে গালি দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে অশোভনীয় ও নিন্দনীয়। আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি [আল্লাহর অবাধ্যাচরণ] এবং তার সঙ্গে লড়াই ঝগড়া করা কুফরি।’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৪৪)

সময়কে গালি দেওয়া যাবে না : আরব মুশরিকরা কোনো বিপদ বা পরীক্ষায় পতিত হলে সময়কে গালি দিত। এটি বড় অন্যায়।

কারণ সময়ের ভালো ও মন্দ পরিবর্তন করেন স্বয়ং মহান আল্লাহ। তাই সময়কে গালি দিলে সেটি আল্লাহকে গালি দেওয়ার নামান্তর। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা বলেছেন, মানুষ সময়কে গালি দিয়ে আমাকে কষ্ট দেয়। অথচ আমিই সময় (সময়ের স্রষ্টা), সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ আমার হাতে, আমি রাত-দিনের পরিবর্তন করি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৯১)

অন্য ধর্মের উপাস্যকে গালি দেওয়া যাবে না : কোনো ধর্মের উপাস্য বা দেব-দেবীদের গালি দেওয়া যাবে না।

পরিশেষে বলা যায়, সবসময় গালমন্দ ও অশ্লীল বাক-বিনিময় থেকে বেঁচে থাকতে হবে এবং মার্জিত ও শ্রতিতিমধুর শব্দ ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে।

Tags:   ইসলাম