• শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

কাজা নামাজে কিরাত পড়বেন যেভাবে

টিএন২৪ ডেস্ক ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৫:৫৫ পিএম

কোনো কারণে যদি কেউ সময় মতো নামাজ পড়তে না পারে তাহলে তার জন্য কাজা নামাজ পড়তে হবে।

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। কিন্তু অনেক সময় সঠিক সময়ে নামাজ পড়তে পারেন না অনেকেই। কোনো কারণে যদি কেউ সময় মতো নামাজ পড়তে না পারে তাহলে তার জন্য কাজা নামাজ পড়তে হবে। কাজা নামাজ একাই পড়া যায়। একসঙ্গে অনেকের নামাজ কাজা হলে তারা চাইলে জামাতের সঙ্গে কাজা নামাজ আদায় করে নিতে পারবেন। 

কাজা নামাজ যখন একাই পড়বেন তখন অন্য সময়ে যেভাবে একা একা নামাজ পড়েন সেভাবেই পড়বেন। কিন্তু কাজা নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের ক্ষেত্রে জোরে কিরাত পড়া যাবে কি না তা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ থাকে। যেমন একজন প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন- গত কয়েকদিন আগে আমাদের সবার ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যায়। পরে আমরা জামাতের সাথে ফজরের নামাজের কাজা আদায় করি এবং নামাজে কেরাত জোরে পড়ি। পরে মনের মধ্যে খটকা লাগল যে, নামাজে কেরাত জোরে পড়া ঠিক হলো কি না? বিষয়টির সঠিক সমাধান জানাবেন।

এই ক্ষেত্রে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো- সশব্দে কেরাত পড়া নিয়মসম্মতই হয়েছে। কেননা ফজর, মাগরিব ও এশার নামাযের কাজা জামাতে আদায় করলে কেরাত শব্দ করে পড়াই আবশ্যক। তা দিনের বেলায় আদায় করলেও কেরাত শব্দ করেই পড়তে হবে। 

হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও কয়েকজন সাহাবি সফরে ছিলেন। অধিক রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ায় তাদের ঘুম থেকে জাগতে দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে সূর্যোদয় হয়ে যায়। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামায কাযা করেন এবং অন্য সময়ের মতো শব্দ করে কেরাত পড়েন।
(কিতাবুল আছার, ইমাম মুহাম্মাদ, বর্ণনা ১৬৮),
-(আলজামিউস সাগীর, পৃ. ৭২; ফাতহুল কাদীর ১/২৮৫;ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৬৬, ১২১)
Tags:   ইসলাম