শিশুর জন্ম গ্রহণের সাতদিন পর আকিকা দেওয়া সুন্নত। আকিকার বিষয়ে এক হাদিসে হজরত আমর ইবনে শুআয়ব (রহ.) তাঁর পিতার মাধ্যমে, তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন- রাসূলকে (সা.) আকিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা মাতাপিতার অবাধ্যতাকে পছন্দ করেন না, যেন তিনি এই (আকীকা) নামকে অপছন্দ করলেন ওই ব্যক্তি আরজ করলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার নিকট জিজ্ঞাসা করছি, কারো সন্তান হলে সন্তানের পক্ষ থেকে যা জবেহ করা হয় সেই বিষয়ে।
তিনি বললেন, যে ব্যক্তি স্বীয় সন্তানের পক্ষ হতে জবেহ করতে ইচ্ছে করে, সে যেন ছেলে সন্তানের পক্ষ হতে দু’টি বকরি জবেহ করে একই ধরনের এবং কন্যা সন্তানের পক্ষ হতে একটি বকরি জবেহ করে।’ (সুনানে নাসাঈ, হাদিস: ৪২১৩)
আকিকার জন্য কেনা পশুর মাধ্যমেই আকিকা করা উত্তম। তবে কেউ যদি কোনো কারণে আকিকার জন্য কেনা পশু বিক্রি করতে চায় তাহলে বিক্রি করতে পারবেন।
আকিকার জন্য কোনো পশু কেনার পর প্রয়োজন পড়লে তা বদল করে অন্য পশু দিয়ে আকিকা দেওয়া যাবে। ওই পশু বিক্রি করা বা নিজের অন্য প্রয়োজনে ব্যবহার করতেও কোনো বাধা নেই।
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেছেন, রাসুল (সা.) পুত্র সন্তানের জন্য দুটি ও কন্যা সন্তানের জন্য একটি পশু আকিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সুনানে তিরমিজি)
হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইহুদিরা পুত্র সন্তানের আকিকা করত কিন্তু কন্যা সন্তানের আকিকা করত না। তোমরা পুত্র সন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং কন্যা সন্তানের জন্য একটি ছাগল দিয়ে হলেও আকিকা করো। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকি: ১৯৭৬০)
সম্ভব হলে সপ্তম দিনেই আকিকা করা উত্তম। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে ১৪ তম দিনে বা একুশতম দিনে করা ভালো। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, আকিকা সপ্তম দিনে হওয়া উচিত। তা সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে। এবং তাও সম্ভব না হলে একুশতম দিনে। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৬৬৯)
অবশ্য একুশ দিনের মধ্যে করা না হলে পরবর্তীতেও তা আদায় করা যাবে। প্রসঙ্গত, সন্তানের আকিকা করার দায়িত্ব তার পিতার। অবশ্য অন্য কেউ বা নিজেও নিজের আকিকা করা জায়েজ আছে।