দোয়া ও প্রার্থনা স্বতন্ত্র্য একটি ইবাদত। আল্লাহর কাছে দোয়া না করলে আল্লাহ অপছন্দ করেন। দোয়ার মাধ্যমে সহজেই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। তাই সব বিষয়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার বিকল্প নেই।
যে দোয়া পড়লে জান্নাত লাভ করা যায়— সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।
‘রাদিতু বিল্লাহি রাব্বা, ওয়া বিল ইসলামী দ্বীনা, ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাঁও ওয়া রাসুলা’।
অর্থ : আমি আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মদ (সা.)-কে রাসুল হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছি।
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন—
যে ব্যক্তি দোয়াটি পড়বে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। হাদিসে আছে, এই কথাটি শোনে আবু সাইদ (রা.) আনন্দে বিস্মিত হয়ে যান। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৯)
অপর বর্ণনায় রয়েছে, যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল ৩ বার এই দোয়া পড়বে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির নেকি বৃদ্ধির মাধ্যমে তাকে সন্তুষ্ট করবেন। (তিরমিজি : ২/১৭৬)
আরেকটি দোয়ার কথা এসেছে হাদিসে। হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আজান শুনে নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে, তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। দোয়াটি হলো—
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসুলুহু; রাদিতু বিল্লাহি রাব্বা, ওয়া বিল ইসলামি দ্বিনা, ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাও ওয়া রাসুলা।)
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক এবং তার কোনো শরিক নেই। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসুল। আমি আল্লাহকে রব, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসুল এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছি।