দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও ইসির চার কমিশনার উপস্থিত রয়েছেন।
আজ বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় এ বৈঠক শুরু হয়।
গত ২৯ অক্টোবর সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ সার্বিক বিষয় অবহিত করার জন্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতির সাক্ষাৎ চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাদের সাক্ষাৎ চেয়ে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে দুটি পৃথক চিঠি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয় বলে ইসির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
ইসি জানায়, আগামী ১ থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। সাক্ষাতের কিছু দিনের মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এ ধরনের সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়। এবারও তাই চাওয়া হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি। সেই হিসাবে আগামী ২৮ জানুয়ারি চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হবে। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই হিসাবে ৩১ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধেই তফসিল দেবে নির্বাচন কমিশন। আর ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচন। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষের দিকে ঘোষণা করা হতে পারে তফসিল। তার আগে বাংলাদেশ টেলিভিশন সিইসির দেওয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করবে। আর এই ভাষণেই তিনি তফসিল দিয়ে দেবেন।