‘বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটির দিকে কেউ আগ্রাসী দৃষ্টি নিয়ে তাকালে আমরা শকুনের মতো তাদের চোখ উপড়ে ফেলব।’ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম আয়োজিত ‘জাতীয় পতাকা প্রদর্শন’ কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে ভারতের উদ্দেশ্যে এমনই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন দলটির মহাসচিব মোমিনুল আমিন।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী কর্তৃক বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথ্যসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম আয়োজিত ‘জাতীয় পতাকা প্রদর্শন’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘আমরা ভারতের বিরুদ্ধে না, আমরা ভারতীয় আগ্রাসন, ভারতীয় মিডিয়ার তথ্যসন্ত্রাস এবং ভারত সরকারের দাদাগিরির বিরুদ্ধে। জুলাই বিপ্লবে ভারতীয় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণরা আমাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করায় মোদি সরকার ভেবেছে একদিন তাদের বিরুদ্ধেও এমন আন্দোলন হবে। আর এজন্য নিজেদের অনুগত মিডিয়া দিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে সেসব তরুণদের বিভ্রান্ত করছে৷’
ববি হাজ্জাজ আরও বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে সংসদীয় কমিটিকে এখানকার (বাংলাদেশ) পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন। আমরা আশা করব, শেখ হাসিনার নতজানু, দাসত্বের নীতি থেকে বের হয়ে এসে আগামীতে আমরা ভারতের সঙ্গে মর্যাদা ও ন্যায্যতার সম্পর্ক তৈরি করতে পারব।
রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল করতে কাজ করছে মন্তব্য করে ববি হাজ্জাজ বলেছেন, ‘এই সরকার আমাদের সরকার। সরকারের কোনো উপদেষ্টা যখন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে কাজ করছে তখন আমরা ব্যথিত হই ৷ আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, সংস্কার ও নির্বাচন সাংঘর্ষিক নয়। নির্বাচিত সরকার দেখতে চাওয়া জনগণের মৌলিক অধিকার।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনডিএম এর উচ্চ পরিষদ সদস্য হুমায়ুন পারভেজ খান, ভাইস চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি, নির্বাহী সদস্য এজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট নূর উল্লাহ, যুব আন্দোলন সভাপতি আদনান সানি এবং ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।