বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা ভারতের আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছেন ।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই লংমার্চ শুরু হয়। তার আগে নয়াপল্টনে জড়ো হন সংগঠন তিনটির নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে ছিল জাতীয় ও বিএনপির দলীয় পতাকা।
এর আগে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে উঠবে। এরপর সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাবো-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব, ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে ভৈরব পৌঁছাবে লংমার্চ। এরপর ভৈরবে পথসভা করে আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা হবে।
এই লং মার্চে রয়েছেন যুব দলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সস্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ তিন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা।
যুব দলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘আমাদের প্রতিবাদ, ক্ষোভ ও ক্রোধ জানাতে এই লং মার্চ। আমরা আখউড়া পর্যন্ত যাব, সেখানে সমাবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের এই কর্মসূচি শেষ করব।’
লং মার্চে তিনটি সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী মাক্রোবাস, প্রাইভেট কার নিয়ে এই লং মার্চে অংশগ্রহণ করে। কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেস্টুরেন্টের মোড় থেকে ফকিরাপুল পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত শত শত মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার এতে যুক্ত হয়।
লং মার্চটি ইত্তেফাক মোড়, সাইনবোর্ড, চিটাগাং সড়ক রোড়, কাঁচপুর মোড়, তারাবো, ভুলতা, গাউসিয়া, মাধবদী, ইটাখোলা, মরজাল, রারুইচা হয়ে ভৈরবে পথসভা করবে। সেখান থেকে আখাউড়া পৌঁছাবে। সেখান সমাবেশ করে লং মার্চ শেষ হবে বলে জানান যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
লং মার্চের এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।