• শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

পঞ্চগড়ের ঘটনায় বিএনপির বক্তব্যে ‘উসকানি’ দেখছেন কাদের

বাসস নিউজ ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১০:৪৯ এএম

বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা ও বিবৃতিতে প্রমাণিত হয় সাম্প্রতিক সময়ে পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলায় তারা জড়িত বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের । বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের  চিরাচরিত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেয়া হয়। এ সময় তিনি উল্লেখ করে বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে উন্মত্ত বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসী পন্থায় সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে। বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা ও বিবৃতিতে প্রমাণিত হয় সাম্প্রতিক সময়ে পঞ্চগড়ে সংঘটিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলায় তারা জড়িত।’


আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে এবং বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ ও আইডি থেকে গুজব ছড়িয়ে ঘটনাকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদ বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থী এবং গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের প্রধান শত্রু। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান তার অসাংবিধানিক ও অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে এদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িকতার বীষবৃক্ষ রোপন করেন। ‘তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি সবসময় রাজনীতিতে ও নির্বাচনী মাঠে গুজব ছড়িয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার কার্ড খেলে আসছে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও জঙ্গিবাদের প্রতিভূ হলো বিএনপি। বিএনপি-জামাত অশুভ জোট আমলে তারা বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল।’ 

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্তর্নিহিত আদর্শ ও চেতনার আলোকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূলনীতি নির্ধারণ করা হয়। ত্রিশ লাখ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে রচিত সংবিধানে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল রাষ্ট্র বিনির্মাণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। 

বাংলাদেশে সংবিধানের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে সম্পূর্ণ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। পৃথিবীর কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তত্ত্বাবধায়ক বা অনির্বাচিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সরকার ব্যবস্থা নেই। 

তিনি বলেন, সংবিধানকে নির্বাসনে দিয়ে নির্বাচনকে প্রতিহত করার পাঁয়তারায় লিপ্ত যারা মূলত তারা জনগণকে আড়ালে রেখে চিহ্নিত গোষ্ঠীর স্বার্থ-সংরক্ষণে ব্যস্ত। দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার কোনো মানুষ তাদের এই অপরাজনীতির বাস্তবায়ন হতে দেবে না। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। এই দলের নেতৃত্বেই দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে এদেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই ভোটাধিকার সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে। 
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশ্যা করি, সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তন হবে। সেজন্য সকল রাজনৈতিক দলেরই দায়িত্বশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করা আবশ্যক। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, অতীতে নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মতো গণহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। বর্তমানেও তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে একইভাবে সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের পথ বেছে নিয়েছে, যা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের প্রধান প্রতিবন্ধক। 

Tags: