• সোমবার ০৬ জানুয়ারী, ২০২৫
logo

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: অভয়ারণ্যে প্রাণ গেল ৩০ হরিণের

নিজস্ব প্রতিবেদক ২৮ মে, ২০২৪ ০৬:০০ পিএম

সুন্দরবনে অভ্যন্তরের মিঠা পানির পুকুরগুলোও জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে। সুন্দরবনের ৮০টি মিঠা পানির উৎস পুকুরে ৮ থেকে ১০ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বনকর্মীদের পাশাশাশি বাঘ, হরিণসহ বন্যপ্রাণীরাও সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে

 ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের শুধু কটকা অভয়ারণ্য থেকে ৩০টি মৃত হরিণ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এখনও বন জুড়ে তল্লাশি চলছে। এতে মৃত হরিণের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। এছাড়া ঝড়ে বনের অভ্যন্তরে ২৫টি টহল ফাঁড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বনের ভিতরে লবণ পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে অন্তত ৮০টি মিষ্টি পানির পুকুরও।

খুলনা বনাঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার বলেন, রোববার বিকেল থেকে একটানা ২০ঘণ্টা ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব ও জ্বলোচ্ছাসে সুন্দরবনের প্রাণ প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে বিশেষ করে বনের অনেক হরিণ মারা গেছে। এ পর্যন্ত বনের শুধু কটকা এলাকা থেকে ৩০টি মৃত হরিণ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। মৃত বন্যপ্রাণীর সন্ধানে বন জুড়ে বনরক্ষীদের তল্লাশি চলছে। 

তল্লাশিতে আরও মৃত বন্যপ্রাণী উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে বনবিভাগ। এদিকে বনের গাছপালারও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে বনবিভাগের বিভিন্ন অফিসসহ টহলবোট, টিনের চালা, জানালা-দরজা, সোলার প্যানেল ও অবকাঠামোর। এ ঝড়-জ্বলোচ্ছাসে কটকা অভয়াণ্যের অফিস ঘাটের জেটি ও পুকুর বঙ্গোপসাগরের গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। দুবলা, কটকা, কচিখালি, বগি ও বিভিন্ন অফিসসহ ২৫টি টহলফাঁড়ির রান্নাঘরসহ অবকাঠামোর টিনের চালা উড়ে গেছে।

সুন্দরবনে অভ্যন্তরের মিঠা পানির পুকুরগুলোও জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে। সুন্দরবনের ৮০টি মিঠা পানির উৎস পুকুরে ৮ থেকে ১০ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায়  বনকর্মীদের পাশাশাশি বাঘ, হরিণসহ বন্যপ্রাণীরাও সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব সুন্দরবনের একমাত্র করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের নানা অবকাঠামো। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, 'ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে এখানকার পর্যটক চলাচলের কাঠের পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙ্গে তছনছ হয়েছে অসংখ্য গাছপালা। তবে পুরো সুন্দরবনের গাছপালাসহ কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত করে এখনই বলা সম্ভব নয়। 

এদিকে, রেমালের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়েছে বাগেরহাট জেলার ৪৫ হাজার ঘরবাড়ি। এর মধ্যে, আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ১০ হাজার বাড়িঘর। উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছপালা। এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে জেলার প্রায় অর্ধলক্ষ মানু।


Tags: