নতুন শিক্ষাক্রমে এক শ্রেণিতে যেন ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা না হয় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার চাঁপা।
আজ বৃহস্পতিবার সাভারের ব্র্যাক সিডিএম-এ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ‘ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম’ স্কিম কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতও হয়তো কাঙ্ক্ষিত মানে নেই। এনটিআরসিএ শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তব্যেরও রূপান্তর জরুরি উল্লেখ করে এরপর তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার এখনই সময়। এই ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে সহযোগিতা করবে। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেট বা অর্থ-সংস্থান কোনো বড় বাধা নয়। শিক্ষায় আগের চেয়ে বরাদ্দ ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে; আগামীতে আরও বাড়ানো হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং স্কিম এর স্কিম পরিচালক অধ্যাপক মাহফুজ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব উন্নয়ন) এবং এসইডিপির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো- অর্ডিনেটর মোহাম্মদ খালেদ রহীম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম প্রমুখ।