• বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

জন্ম নিবন্ধনের কারণে ১৫ কোটি শিশু ‘অদৃশ্য’ : ইউনিসেফ

টিএন২৪ ডেস্ক ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৩:০৫ পিএম

জন্ম নিবন্ধনের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ কোটি শিশু “অদৃশ্য” হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

জন্ম নিবন্ধনের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ কোটি শিশু “অদৃশ্য” হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

সংস্থাটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, “অদৃশ্য” এসব শিশু তাদের বৈধ পরিচয় থেকে বঞ্চিত এবং তারা রাষ্ট্রহীনতা ও অধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ইউনিসেফ এই সতর্কতা উচ্চারণ করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

জাতিসংঘের এই শিশু সংস্থাটি তাদের এক নতুন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী ৭৭ শতাংশ শিশুর জন্ম গত পাঁচ বছরে নিবন্ধিত হয়েছে, যা ২০১৯ সাল থেকে দুই শতাংশ বেশি।

কিন্তু এই ধরনের “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি” সত্ত্বেও ১৫ কোটি অল্পবয়সী শিশু নিবন্ধিত না হওয়ার কারণে তারা আইনি বিভিন্ন বাধার মধ্যে রয়েছে। এছাড়া আরও ৫ কোটি শিশু যাদের নিবন্ধন করা হয়েছে কিন্তু তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক জন্ম সনদ নেই।

মূলত একজন ব্যক্তির পরিচয় এবং বয়স নিশ্চিত করার জন্য তার জন্ম সনদ গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয়তার প্রমাণ এবং শিশুশ্রম, জোরপূর্বক বিবাহ বা সামরিক বাহিনীতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিয়োগ থেকে সুরক্ষার জন্য এই জাতীয় প্রমাণ প্রায়শই অপরিহার্য।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, “জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করে যে— শিশুরা অবিলম্বে আইনের অধীনে স্বীকৃত হয়। এটি তাদের যেকোনও ক্ষতি এবং শোষণ থেকে সুরক্ষার একটি ভিত্তিও প্রদান করে, সেইসাথে ভ্যাকসিন, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো পাওয়ার সুযোগও প্রদান করে।”

তিনি আরও বলেছেন, “অগ্রগতি সত্ত্বেও অনেক শিশু গণনার বাইরে এবং হিসাবহীন থেকে যায়— যা সরকার বা আইনের চোখে কার্যকরভাবে অদৃশ্য।”

এই শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোতে বসবাস করে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অঞ্চলে শুধুমাত্র ৫১ শতাংশ অল্পবয়সী ছেলে ও মেয়ে নিবন্ধিত।

ইউনিসেফ বলেছে, জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান অনেক বাধা রয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধনের যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিবারের জ্ঞানের অভাব, উচ্চ ব্যয়, অপর্যাপ্ত রাজনৈতিক ইচ্ছা এবং কিছু অঞ্চলে, লিঙ্গ, জাতিগত বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের মতো বিষয়ও রয়েছে।