প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের একটি কোর্সের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে উদ্বেগ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়। এটি ছিলো ৪১৯ নং কোর্সের পরীক্ষা, যার মাধ্যমে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিলো।
এর আগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতরে একটি উড়ো চিঠি আসে। চিঠিতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সব কোর্সের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
চিঠিতে প্রশ্নপত্রসহ লিখা ছিলো, ‘একজন শিক্ষক তার অনুগত শিক্ষার্থীকে সুবিধা দেয়ার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন।’
পরে প্রশ্নপত্র নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য মো. কামাল উদ্দিন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আলাউদ্দিন মজুমদার ও ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে এসে প্রশ্ন মিলিয়ে দেখেন। এতে চিঠিতে দেয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে আজকের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া যায়। এরপর উপাচার্য পরীক্ষা স্থগিত করার সুপারিশ করেন।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী জানান, চিঠিতে কারো নাম ছিল না। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিভাগে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রশ্নপত্রের সঙ্গে অভিযোগে দেয়া প্রশ্নপত্রের শতভাগ মিল পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়েছে বলে জানান উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন।
বিভাগের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী বলেন, কম্পোজের জন্য প্রশ্নপত্র গুগল ড্রাইভে রাখা হয়েছিলো। সেখান থেকে বেহাত হতে পারে বলে মনে করছি।