টাঙ্গাইলের মধুপুরে ০৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণে কারচুপি, অনিয়ম, ও ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃনির্বাচন দাবি করেছেন দোয়াত-কলম প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু।
আজ শনিবার (১১ মে) বেলা ১১টায় তার নিজ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃনির্বাচন দাবি করেন। এছাড়াও তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এই আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রশাসন দ্বারা সর্বোচ্চ প্রভাব খাটিয়ে ভোট কারচুপি ও অনিয়ম করে ফল পরিবর্তন করিয়েছে। ফলে মধুপুরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে ড, রাজ্জাকের কারণে। দোকান-পুকুরের মাছ লুটপাট, খেতের ফসল লুট, অটো-রিকশা ভ্যান ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটতে শুরু হয়েছে এখন।
তিনি জানান, ২০/৩০টি কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি বান্ডিলে ২০/৩০ করে দোয়াত-কলম এবং মোটরসাইকেলের ভোট আনারস প্রতীকের বান্ডিলের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ভোট গণনার সময়। ভোট গণনার আগেই ফলাফল শিট তৈরি করে মনগড়াভাবে লিখে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। ফলাফল শিটে গণনাকারী অফিসারদের সাথে আমার এজেন্টদের কোনো সাক্ষর নেই। ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে ৪ টায়। কিন্তু ৪টা ১৫ মিনিট থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হলেও ভাইস চেয়ারম্যানদের ফলাফল রাত সাড়ে ১২টায় প্রকাশ করা হয়। এতেই প্রমাণিত হয় ভোটে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়ম হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মধুপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও ছরোয়ার আলম খান আবুর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মাসুদ পারভেজ, মধুপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর জহির উদ্দিন বাবর, ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মেহেদী হাসান রনিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।