নারীদেরকে আইসিটিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার ওপর গুরত্বারোপ করে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেছেন, দেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের চাহিদা প্রবলভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য এই সেক্টরে আমাদের দেশের নারীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত কম। নারীদেরকে এই সেক্টরের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সমাজ এবং দেশের অগ্রগতির জন্য নারীদের কর্মক্ষম হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ অডিটোরিয়ামে ‘আইসিটি দক্ষতা এবং কর্মসংস্থানসহ মেয়েদের ক্ষমতায়ন: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর আয়োজনে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের সুযোগ ও চাহিদার কথা মাথায় রেখে নারীদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে প্রযুক্তিতে আরো উন্নত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি দুই ক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা আছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে সরকার আইসিটিখাতে নজর দিচ্ছে এবং নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে। বাংলাদেশে প্রযুক্তির বিকাশ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং সামগ্রিকভাবে দেশের সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেন।
এ অনূষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর পরিচালক অধ্যাপক তানিয়া হক।
ড. মনজুর হোসেন বলেন, আরএমজি ও রেমিটেন্স-এর পরে বাংলাদেশে জিডিপিতে আইসিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই সেক্টরে কম বিনিয়োগ লাগে তাই এটি একটি সম্ভাবনাময় খাত। নারীরা এই ক্ষেত্রে অবদান রাখা খুবই সহজ কারণ এখানে কাজের সময়টা ফ্লেক্সিবল। দিনের যেকোনো সময় নারীরা চাইলে এ কাজ করতে পারেন।