করদাতাদের উপর থেকে মূল্যস্ফীতির চাপ লাঘবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন।
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেন তিনি।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোম্পানি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ছাড়া অন্যান্য শ্রেণির করদাতা বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা, করহার এবং করধাপ ২০২০-২১ অর্থবছর হতে অপরিবর্তিত আছে।
মূল্যস্ফীতির কারণে করদাতাগণের প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছে এবং অন্য দিকে করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে করদাতাগণের কর প্রদানে স্বাচ্ছন্দতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমি কোম্পানি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণির করদাতা, বিশেষ করে স্বাভাবিক ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাগণের করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করছি।
এতে ব্যক্তি করদাতাদের করভার লাঘব হবে বিধায় তারা নিয়মিতভাবে কর পরিশোধে উৎসাহিত হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পুরুষ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং নারী ও ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি। একই সাথে সর্বনিন্ম করহার ৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।
এছাড়া প্রতিবদ্ধী করদাতাদের করসীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের করসীমা ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তৃতীয় লিঙ্গ করদাতাদের করসীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের ক্ষেত্রে এরূপ প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের করমুক্ত সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।