• শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

‘ন্যায্য অধিকারের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে হবে’

টিএন২৪ ডেস্ক ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০২:২৪ পিএম

আমাদের দেশের ৫৪টি নদীর পানির উৎস ভারতে। তারপরও আমরা কেন পানি পাই না? কেন তিস্তা সমস্যার সমাধান হয় না? কেন আমাদের পানির জন্য হাহাকার করতে হয়? এসব সমস্যার সমাধান কেন হয় না। ভারতের সঙ্গে ঝুলে থাকা অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। ন্যায্য এবং অধিকারের ভিত্তিতে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ভারতের সঙ্গে ন্যায্য অধিকারের ভিত্তিতে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা এসব কথা বলেন। 

তারা বলেন, আমাদের দেশের ৫৪টি নদীর পানির উৎস ভারতে। তারপরও আমরা কেন পানি পাই না? কেন তিস্তা সমস্যার সমাধান হয় না? কেন আমাদের পানির জন্য হাহাকার করতে হয়? এসব সমস্যার সমাধান কেন হয় না। ভারতের সঙ্গে ঝুলে থাকা অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। ন্যায্য এবং অধিকারের ভিত্তিতে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। এছাড়া কোনো সম্পর্ক এগোতে পারে বলে আমরা দেখছি না।  

ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননাকারীদের শাস্তির দাবি ও উভয় দেশের জনগণের ঐক্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আগরতলা যেটা ঘটেছে এটা কোন কুটনৈতিক শিষ্টাচারে পড়ে? একটা দেশে আরেকটা দেশের যে দূতাবাস থাকে সেটিকে রক্ষার ১০০ শতাংশ দায়িত্ব সরকারের। তারা (ভারত) ফেল করেছে। অনতিবিলম্বে আগরতলার ঘটনার অপরাধীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলা বন্ধ করতে হবে।  

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের অনেক সমস্যা ঝুলে আছে। সীমান্ত হত্যা করে ভারত বলতো দুর্বৃত্তরা এটা করেছে। আর আমাদের দেশের আগের সরকার তাদের সুরে কথা বলতো। আমাদের সঙ্গে তারা (ভারত) অসম বাণিজ্য করেছে। সুন্দরবনে তারা ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানির নামে রামপাল প্রজেক্ট করেছে। ফ্রেন্ডশিপের নামে যে কোম্পানিগুলো করা হচ্ছে, এটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ভারতের সঙ্গে আমাদের চিরস্থায়ীভাবে শত্রুতা তৈরি হবে। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, আপনি বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী পাঠানোর কথা বলেছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশের জনগণ মমতার এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছে। এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানাই।  

গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, আমাদেরকে ধৈর্যের সঙ্গে সবকিছু মোকাবিলা করতে হবে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে। সাম্প্রতিক দাঙ্গা এবং সাম্প্রদায়িক হামলার যে কোনো সম্ভাব্য ঘটনাকে প্রতিহত করতে হবে। 

বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।   

Tags:   খবর