'আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ছায়া দে রে তুই আল্লাহ', 'মাঝি বাইয়া যাও রে', 'আমার কাঙ্খের কলসি', 'প্রাণ সখিরে বাবলা বনের ধারে ধারে', 'আমার বাড়ি যাইও বন্ধু'সহ অসংখ্য জনপ্রিয় কবিতা ও গানের স্রষ্টা আবদুল হাই মাশরেকীর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮৮ সালের ৪ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
আবদুল হাই মাশরেকী ১৯০৯ সালের ১ এপ্রিল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের কাঁকনহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই গান ও কবিতা রচনা করতেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে তিনিই প্রথম হত্যা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কবিতাকে প্রতিবাদের হাতিয়ারে পরিণত করেছেন।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কবির নিজ জন্মভূমিতে আজ বুধবার দুপুর ১২ টায় 'ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ' ও 'আবদুল হাই মাশরেকী পরিষদ'-এর যৌথ উদ্যোগে স্মরণসভা, সমাধি জিয়ারত, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিন সাত্তার।
এছাড়াও আগামী ৭ ডিসেম্বর, শনিবার বিকাল ৪ টায় ঢাকার 'জনপ্রশাসন' পত্রিকা কার্যালয়ে কবি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন নাট্যশিল্পী ও আবৃত্তিকার শংকর সাওজাল।
উল্লেখ্য, লোককবি আবদুল হাই মাশরেকীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- 'কিছু রেখে যেতে চাই', 'হে আমার দেশ', 'দেশ দেশ নন্দিতা', ' মাঠের কবিতা মাঠের গান', 'কাল নিরবধি', গীতিনাট্য ও কাব্য 'ভাটিয়ালী', পুঁথি কাব্য 'হযরত আবু বকর ( রা. )', খণ্ড কাব্য ' অভিশপ্তের বাণী', পালাগান 'রাখালবন্ধু ', 'জরিনা সুন্দরী', পল্লিগীতিকা 'ডাল ধরিয়া নুয়াইয়া কন্যা'।