'কোন্ পতাকায় লাথি দেয় কেউ
কোন্ পতাকায় ফুল
আমার প্রেমের পতাকা তোমার
এলোমেলো হওয়া চুল
পতাকায় নয় কিছুই শুরু
পতাকায় নয় শেষ
আমিই ভারতবর্ষ প্রিয়া
আমিই বাংলাদেশ।'
কবীর সুমন, বাংলা গানের জগতের অন্যতম চর্চিত নাম। তার গান মানেই বিপ্লব, তিনি গানওয়ালা। গানের আঙিনা পেরিয়ে রাজনীতির জগতেও ছিল তার পদচারণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। পশ্চিমবঙ্গ কিংবা বাংলাদেশ- সব দেশেরই চলমান ইস্যু নিয়ে কথা বলতে, গানে বা কবিতায় প্রতিবাদ করতে দেখা যায় তাকে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি সবসময়ই সরব ছিলেন। জুলাইয়ের অভ্যুত্থান ও পরবর্তী সময়েও নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
সম্প্রতি ‘পতাকার অবমাননা’ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি তরজা। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ইঙ্গিত করে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন কবীর সুমন। কবীর সুমন এবার তার প্রতিবাদী কবিতায় মনে করিয়ে দিলেন ফেলানি খাতুনের কথা। ২০১১ সালে যে বাংলাদেশি কিশোরীকে বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তে গুলি করে হত্যা করেছিল। সেই ফেলানির কথাই উঠে এসেছে সুমনের লেখায়।
কবীর সুমন তার কবিতায় লিখেছেন, 'কতগুলো উজবুক পতাকা মাড়ালো / বিজ্ঞরা তাই ব্লাড প্রেশার বাড়ালো / পতাকার চেয়ে বড় ফেলানির বুক / সেটা তাক করেছিল কার বন্দুক / কাঁটাতারে ঝুলছিল মেয়েটা আমার / দেশের বুলেট দেশপ্রেমের খামার / কার দেশ কার ফ্ল্যাগ কার কাঁটাতার / কোথায় রইল ঝুলে ফেলানি আমার।' কবীর সুমন শেষে আরও লিখেছেন, পরের জন্মে তিনি ফেলানির বাবা হবেন আর আবু সঈদের মতো ঘাতকের সামনে বুক পেতে দেবেন।
অপরদিকে, একাধিক পোস্ট ও কবিতায় কবীর সুমন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যা বাংলাদেশ-সেটাই ভারত। তার মতে পতাকার থেকে ভালোবাসা বড়। তাই তিনি প্রেমের গান গাওয়ার বার্তাই দিয়েছেন সবাইকে।