টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী বুধবার ৮ মে। এদিকে সোমবার মধ্যেরাত থেকে শেষ হয়েছে প্রচার-প্রচারণা। পাঁচজন প্রার্থী এখানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তবে দুজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা। ভোটের হিসাব-নিকাশ শেষে বিজয়ী হবেন কে, এ নিয়েই এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা (ঘোড়া), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক দুইবারের পৌর মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন (দোয়াত-কলম), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ ওরফে সবুজ তালুকদার (মোটরসাইকেল) এই তিনজন উপজেলার শীর্ষ নেতা এবং সাবেক ছাত্র নেতার মধ্যে মেহেদী হাসান রনি (আনারস) ও আজিজুল রহমান (হেলিকাপ্টার)। এরা সবাই আওয়ামী লীগ দলীয়।
একাধিক নেতাকর্মী ও এলাকার সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে মুখে মুখে ত্রিমুখী প্রচারণা হয়েছে। মূলত মোটরসাইকেল ও দোয়াত-কলম প্রতীকের মধ্যেই হবে ভোটযুদ্ধের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। বর্তমান চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপির খালাতো ভাই। তাই ড. রাজ্জাক দলীয় সিন্ধান্ত অমান্য করে খালাতো ভাইয়ের পক্ষে সরাসরি মাঠে নামে। ফলে তৃণমূলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর আগের নির্বাচনে হীরা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চেয়ারম্যান হয়েছিলেন।
তবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভাষ্য, ‘উপজেলার তাদের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কাজ করেছেন। জয়ের ব্যাপারে পাঁচজন প্রার্থীই শতভাগ আশাবাদী।’
ধনবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) ইদ্রিস আলী বলেন, ‘এলাকা শান্তিপূর্ণ রাখতে সঁজাগ রয়েছি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। আশা করি ভোটের দিনেও শান্তিপূর্ণ থাকবে।’
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ূর রহমান বলেন, ‘ধনবাড়ীর নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে যা যা করার তার সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর সুযোগ থাকবে না। ঘটার সাথে সাথেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৮৮ জন। এরমধ্য পুরুষ ৭৯ হাজার ৯০২ জন এবং নারী ৮২ হাজার ৬৮৬ জন।