• শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

ধনবাড়ীতে প্রকল্পের শ্রমিকদের মজুরি আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:৩১ পিএম

প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচির শ্রমিকদের মজুরি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। 

উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুল আহমেদ প্রমাণিকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ দায়ের করেন মো. হাফিজুর রহমান নামের কর্মসূচির এক শ্রমিক। তিনি মুশুদ্দি পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযোগপত্র ও ভুক্তভোগীরা জানান, মুশুদ্দি ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান শ্রমিকদের গ্রুপভিত্তিক তালিকা করে কয়েকমাস আগে কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের সভাপতির দায়িত্ব পান ওই ইউনিয়নের আ. ছালাম, মিজানুর রহমান দুলাল ও মনোয়ারা খাতুন নামের তিন ইউপি সদস্য। শ্রমিকদের হাজিরা নিয়ে বিল করেন বাবুল মেম্বার। কর্মসূচিতে ৪০ দিন কাজ করার কথা থাকলেও কাজ হয় ২৯ দিন। 

তারা আরও জানান, ইতিমধ্যে পিআইও অফিস থেকে শ্রমিকদের মজুরির বিল বিকাশে প্রদান করা হয়। যারা কাজ করেও টাকা পায়নি বাবুল মেম্বারকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী শ্রমিকদের গালাগাল করে হুমকী প্রদান করে। ৮/১০ জনের ভুয়া নাম ও মোবাইল বসিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে ওই ইউপি সদস্য। 

তালিকাভুক্ত শ্রমিক জামাল হোসেন, সুজন মিয়া, ফারুখ হোসেন, জোৎস্না বেগম, পারভীন আক্তার ও রোমানা বেগমের অভিযোগ করেন, ‘এই কর্মসূচিতে ২৯ দিন কাজ করেও কোনো টাকা পায়নি! এর আগের কর্মসূচিতে ৫ দিন কাজ করিয়ে পুরো মজুরির টাকা মেরে দেয়।’

ভুক্তভোগী হাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘বাবুল মেম্বার আমার নামের পরিবর্তে আল-মামুন নামের এক ব্যক্তির নাম বসিয়ে টাকা তুলেছে।’

ইউপি সদস্য ও ওই প্রকল্পের সভাপতি আ. ছালামেরও ভাষ্য, ‘আমার তালিকাভুক্ত শ্রমিকরাও মজুরির টাকা পায়নি। ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবকে জানিয়ে কোনো সুরাহা পায়নি।’

জানতে চাইলে ইউপি সদস্য বাবুল আহমেদ প্রামাণিক বলেন, ‘পুরাতন কিছু নাম কর্তন করে নতুন নাম যোগ করা হয়েছে। ভুলক্রমে কিছু নাম বাদ পড়েছে।’

‘তালিকা অনুযায়ী কর্মসূচির শ্রমিকদের মজুরির টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাবিবুর রহমান সুমন।’

‘ইউপি চেয়ারম্যান আবু কাউসারের মুঠো ফোনে একাধিবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।’ 

যোগাযোগ করা হলে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Tags: