টাঙ্গাইলে রফিক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ২৮ বছর পর গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি টাঙ্গাইল পৌর এলাকার ভাল্লুককান্দি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মো. নুর আলম। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন।
এ বিষয় এসআই মো. সোহেল জানান, ২৯ ডিসেম্বর পৌর এলাকা বেবিস্ট্যান্ড এরিয়া হতে আসামিরা রফিককে তুলে নিয়ে যমুনা চরে গলা টিপে হত্যা করে। এরপর মৃত রফিকের বাবা আরশাব আলী তাদের দুজনকে বাদী করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- জেলার সদর থানার পৌর এলাকার ভাল্লুক কান্দি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে নুর আলম ও একই গ্রামের মাহতাবের ছেলে লতিফ।
মৃত রফিকের বোন আসমা বেগম জানান আজ আমার ভাইয়ের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ২৮ বছর পর গ্রেফতার হয়েছে। এটি জেনে হতবাক আমাদের স্বজনসহ এলাকাবাসী। আজ আমার মা বাবা বেঁচে থাকলে সব চেয়ে বেশি খুশি হতেন।
আমার মা সারাজীবন আমার ভাইয়ের জন্য কাঁদতে কাঁদতে বলত আমার ছেলে হত্যার বিচার বুঝি পাব না।
এ বিষয় সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, ১৯৯৫ সালে মো.আব্দুল কুদ্দছ সেশন জজ আদালত টাঙ্গাইল রায়ে দুজন আসামিকেই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দেয়া হয়।
এরপর থেকে আসামিরা পলাতক। দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর পর পলাতক আসামি নুর আলম চট্রগ্রামের বন্দর এলাকায় আত্মগোপন করে একটি কবরস্থানে নিরাপত্তা প্রহরী হিসাবে চাকরি করেন। সেখানে তিনি সদ্য নামে (জিসান) পরিচিতি ছিল। তাকে ধরার জন্য তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেফতার করতে সক্ষম।
আশা করছি অপর আসামিকেও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত গ্রেফতার করতে পারব। গ্রেফতারকৃত আসামি নুর আলমকে আজ আদালতে সোর্পদ করা হবে।