পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা সুদূরপ্রসারী। তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রণয়ন করেছেন শতবর্ষী ডেল্টা প্ল্যান, যার অধিকাংশ কাজ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
আজ বুধবার বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর পানি ভবন থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, 'Accelerating change to solve the water and sanitation crisis' প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ২২ মার্চ উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব পানি দিবস- ২০২৩। পানি সম্পদ, পানি সম্পদের ব্যবহার এবং এর সুরক্ষার উপর সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এটি একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ। পানি সম্পদ আমাদের সকলের জীবনকে প্রভাবিত করে। এবারের বিশ্ব পানি দিবসে পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
উপমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মতে প্রায় ২.২ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানি এবং ৪ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই সংকট জনস্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই সংকট সমাধানে এবারের প্রতিপানা খুবই সময়োপযোগী। পানি সম্পদ ও স্যানিটেশনের সংকট ও এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, জনসমর্থন, অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ সরকার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয় প্রয়োজন।
এনামুল হক শামীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্নের সোনার বাংলা রূপায়নে নদী মাতৃক আবহমান বাংলায় পানি সম্পদ উন্নয়ন খাতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এতে পানি মন্ত্রনালয়ের সচিব এস.এম নাজমুল আহসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো: নূরুল ইসলাম সরকার সহ মন্ত্রনালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। পরে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরনিকর মোড়ক উন্মোচন করেন উপমন্ত্রী।