টাঙ্গাইলের মধুপুরে জামাতার ক্ষমতা দেখিয়ে চলাচলের রাস্তায় বালু ফেলে দখল করে রাখার অভিযোগ ওঠেছে অবসরপ্রাপ্ত এক প্রাইমারী স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে চলাচল করলেও বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।
ওই স্কুল শিক্ষকের জামাতা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হওয়ার সুবাদে তাঁর ক্ষমতা দেখিয়ে এ কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পায়ে হেঁটে চলাচল ব্যাতিত কোনো যান ও জরুরি সেবার গাড়ি যেতে পারছে না ওই রাস্তাটিতে।
ওই স্কুল শিক্ষকের নাম আব্দুল হামিদ। সে মধুপুর টেংরি পল্লী বিদ্যুৎ মাঠের দক্ষিণ এলাকার বাসিন্দা। রাস্তায় দীর্ঘদিন বালুগুলো ফেলে বাসা নির্মাণ কাজ করছেন তিনি।
সরেজমিনে আজ সোমবার (১৮ জুন) গিয়ে দেখা যায়, মধুপুরের টেংরি এলাকার আব্দুল হামিদ (৬২) তাঁর বাসা নির্মাণে রাস্তার মাঝ খানে বালু রেখে নিমার্ণ কাজ চালাচ্ছেন। পাশেই বায়তুন নূর জামে মসজিদ। স্থানীয় বাসিন্দারা ও মসজিদের মুসল্লিরা ঠিকভাবে নামাজ পড়তে যেতে পারছে না। বালু ফেলার কারণে দুর্ভোগ নেমে এসেছে সবার। চলাচালের বিষয়ে সমাজের লোকজন আব্দুল হামিদকে জানালে তাঁর জামাতার ক্ষমতা দেখান বলেও জানান স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিয়ে আব্দুল হামিদ রাগান্বিত হয়ে তাঁর জামাতা মধুপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলামকে ঘটনাটি জানান। তাঁর জামাতা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই সমাজের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানকে মুঠোফোনে হুমকী-ধামকী প্রাদান করে বলেও জানা সমাজবাসী। বিষয়টি নিয়ে সমাজে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
স্কুল শিক্ষক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘প্রতিহিংসায় এসব কথা বলছে সমাজবাসী। রাস্তায় এক পাশে বালু রেখে কাজ চলছে।’
সমাজের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘সবার চলাচল সমস্যা হচ্ছে বিষয়টি আব্দুল হামিদকে জানানো হলে তিনি তাঁর জামাতাকে দিয়ে আমাকে হুমকী প্রদান করে।’
ওই সমাজের সভাপতি আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমরা সবাই বসে ছিলাম বিষয়টি সমাধানে। আব্দুল হামিদ কারও কথা মানেন না।’
হুমকীর বিষয়ে আব্দুল হামিদ জামাতা মধুপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শ্বশুড়ের কোনো ছেলে নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলেছি। কোনো হুমকী দেয়া হয়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।’