সচিব পর্যায়ে ‘বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটির (জেইসি)’ সপ্তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘নেপাল-বাংলাদেশ যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটির (জেইসি)’ সপ্তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষের নেতৃত্ব দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান এবং নেপালি পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন সেদেশের জ্বালানি, পানি ও সেচ মন্ত্রণালয়ের সচিব গোপাল প্রসাদ সিগদেল।
পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপ্রিয় দেশ হিমালয়কন্যা নেপাল। নেপাল বহু জাতির,বহুসংস্কৃতি ও বহুভাষার একটি দেশ। বাংলাদেশ ও নেপাল ঐতিহাসিক, ভাষাগত সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময় নেপাল সরকার এবং জনগণের নৈতিক ও বৈষয়িক সমর্থন বাংলাদেশের জনগণ গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে। স্বাধীনতার পর যে সব দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল তাদের মধ্যে নেপাল অন্যতম।
গোপাল প্রসাদ সিগদেল বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান।বাংলাদেশের আতিথিয়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন সিগদেল। বাংলাদেশ ও নেপালের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির মধ্যে বেশ মিল রয়েছে। তেমনি দুই দেশের সম্পর্ক একইসূত্রে গাঁথা।
সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সভায় এই অঞ্চলে পানি সম্পদের উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার, সেচের পাশাপাশি বন্যা প্রশমনে যৌথ সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। দুই পক্ষই বন্যা পূর্বাভাসের পাশাপাশি অভিন্ন নদীগুলির অববাহিকা-ব্যাপী ব্যবস্থাপনার জন্য রিয়েল টাইম হাইড্রো-মেটিওরোলজিক্যাল ডেটা ভাগাভাগি করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে ।
পানিসম্পদ ব্যবহার, বন্যা ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি প্রশমিত করার বিষয়ে যৌথ গবেষণা এবং পানি সম্পদ খাতে উভয় দেশের পেশাদারদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় নিয়ে আলোচনা হয়। "বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণের জন্য রিয়েল-টাইম হাইড্রো-মেটিওরোলজিক্যাল তথ্য উপাত্ত আদান-প্রদান করা " বিষয়ে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী নেপাল পাঁচ বছরের জন্য যথা সময় বন্যা সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করবে। সমঝোতা স্মারকটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে দীর্ঘ সময়ের সাথে বন্যার পূর্বাভাস প্রদান করবে।
নেপালি টিম লিডার বাংলাদেশ টিম লিডার এবং তার প্রতিনিধি দলকে পরবর্তী জেইসি বৈঠকের জন্য পারস্পরিক সুবিধাজনক তারিখে নেপাল সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এর আগে সোমবার (২৯মে) নেপালের জ্বালানি, পানি ও সেচ মন্ত্রণালয়ের সচিব গোপাল প্রসাদ সিগদেল এর নেতৃত্ত্বে পাচ সদস্যের প্রতিনিধিদল পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
প্রতিনিধিদল আজ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পদ্মা নদীর তীরে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জি কে) প্রকল্প পরিদর্শন করবেন এবং ১ জুন ঢাকা ত্যাগ করবেন ।
নেপালের প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন নেপালের জ্বালানি, পানি ও সেচ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, শিশির কৈরালা;মহাপরিচালক পানিসম্পদ ও সেচ,সুশিল চন্দ্র আচার্য;সিনিয়রে বিভাগীয় প্রকৌশলী ডাঃ যোগেন্দ্র মিশ্র;সেকশন অফিসার হরিহর কান্ত পাউডেল।