• রবিবার ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

স্বামীর পরকীয়া না সইতে পেরে স্কুল শিক্ষিকার আত্মহত্যা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১০:৪৯ এএম
  • নিহতের পরিবারের লোকজন জানান ‘লাশ ময়না তদন্ত না করতে পারভেজের পরিবার রাজনৈতিক চাপ দেয়।’

    টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে মনিরা খাতুন (২৯) নামের এক স্কুল শিক্ষিকা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

স্বামীকে পরকীয়া বাঁধা দিলে তাঁকে হত্যা করা হয় বলে নিহত পরিবারের অভিযোগ।

ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে পৌর শহরের আমবাগান এলাকায়। দীর্ঘদিন যাবত এক কন্যা সন্তান নিয়ে বাসা ভাড়ায় থাকতো। রাতেই মনিরার লাশ উদ্ধার করে ও তাঁর স্বামী রেদোয়ানুল ইসলাম পারভেজকে (৩৫) জিজ্ঞাসাবাদে নিয়ে আসে ধনবাড়ী-থানা পুলিশ। স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলে আজ  শুক্রবার (২৬ মে) লাশ ময়না তদন্তে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে পুলিশ।

রেদোয়ানুল ইসলাম পারভেজ উপজেলার মুশুদ্দি মৌলভী পাড়ার আতিকুর  ইসলামের ছেলে। পেশায় একজন ঔষধ বিক্রেতা। 

নিহতের চাচা নুরুল ইসলাম ও ভগ্নিপতি শাহাদত হোসেন আলাল জানান, ধনবাড়ী হাসপাতালের তানিয়া আক্তার নামের এক মেডিকেল এসিস্ট্যান্টের সাথে পারভেজ পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শারীরিকভাবে অত্যাচার করতো মনিরাকে। বৃহস্পতিবার রাতে আবারও ঝগড়া হলে মনিরাকে হত্যা করে। পরে সাবার কাছে প্রচার করে মনিরা আত্মহত্যা করেছে। বাসা থেকে মনিরার লাশ একাই হাসপাতালে যায় পারভেজ।

নিহতের মামা ইকাবাল হোসেন জুপিটার বলেন, ‘লাশ ময়না তদন্ত না করতে পারভেজের পরিবার রাজনৈতিক চাপ দেয়। আমরা সঠিক বিচার চাই।’

পারভেজের চাচা ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. ফজলুল হকের ভাষ্য, ‘মনিরা আত্মহত্যা করেছে। হত্যা করা হয়নি।’

ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে হাসপাতাল থেকে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখ্যজনক। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
 

Tags: