• বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে ফের কড়াকড়ি

টিএন২৪ ডেস্ক ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৪:১৫ পিএম

সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। নতুন এ নির্দেশনায় কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

দাপ্তরিক বিভিন্ন কাজে অথবা উচ্চতর প্রশিক্ষণ কিংবা ফিল্ড ভিজিটের উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে থাকেন। এ প্রথা নতুন নয়। তবে অনেক সময় দেখা যায় দাপ্তরিক কাজে বিদেশে গেলেও তা কার্যত কেবল ভ্রমণেই থেকে যায়। তাছাড়া এসব ভ্রমণে সরকারকে গুনতে হয় কড়িকড়ি অর্থ। 

তাই এবার সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। নতুন এ নির্দেশনায় কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ছাড়া একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে যাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়।

এর আগে ডলার সংকটের কারণে গত অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।

বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে–

১. সাধারণভাবে বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হবে।

২. বছরের সম্ভাব্য বিদেশ ভ্রমণের একটা তালিকা জানিয়ে রাখতে হবে।

৩. বিদেশ ভ্রমণের জন্য মন্ত্রণালয় ভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার অফিস এর কাঠামো তৈরি করে দেবে এবং এর তথ্য সংরক্ষণ করবে।

৪. সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা একাধারে বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করবেন।

৫. মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করবেন। তবে জাতীয় স্বার্থে অনুরূপ ভ্রমণ একান্ত অপরিহার্য হলে তেমন অপরিহার্যতার বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।

৬. মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধীন অধিদপ্তর বা সংস্থার প্রধানরা একান্ত অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ব্যতিরেকে একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে যাবেন না।

৭. বিদেশে অনুষ্ঠাতব্য সেমিনার/ওয়ার্কশপ ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের জন্য উপদেষ্টা ও সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের প্রস্তাবের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং অপরাপর অংশগ্রহণকারী দেশ থেকে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাতে অংশ নিচ্ছেন তেমন তথ্য সন্নিবেশ করবেন।

৮. বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পেশকালে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রস্তাবিত কর্মকর্তার ওই কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতা ও উপযোগিতার বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে।

৯. কেনাকাটা, প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন কিংবা ফ্যাক্টরি অ্যাকসেন্ট্যান্স টেন্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে কেবল সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ প্রেরণের বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

১০. সরকারি অর্থে কম প্রয়োজনীয় ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

১১. সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশে বিনোদন ভ্রমণ পরিহার করবেন।

১২. সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ ছুটিতে যাওয়া পরিহার করবেন।

১৩. বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত কর্মকর্তার পূর্ববর্তী এক বছরের বিদেশ ভ্রমণ বৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হবে।