বিদ্রোহীদের প্রতিরোধের মুখে দামেস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। তবে পালানোর সময় তার বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। আসাদের গন্তব্য এবং অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে এবার নতুন তথ্য দিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাশার আল-আসাদ এখন সিরিয়ায় নেই। তিনি সিরিয়া থেকে বের হয়ে গেছেন।
তবে তাদের এই দাবি কতটা সত্য, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি বাশার রাশিয়ার দিকে গেছেন কি না, তা-ও স্পষ্ট করেনি রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কার্যালয় ছেড়েছেন বাশার আল-আসাদ। তিনি সিরিয়াও ছেড়েছেন। দেশ ছাড়ার আগে তিনি ঘোষণা দিয়ে গেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে যাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে তার কথা হয়নি।
এর আগে পালানোর সময় আসাদের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে হয়, আসাদের বিমান দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পর হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে। পরে বিমানটিকে আর রাডারে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বাশার আল-আসাদের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে।
এদিকে দুটি সিরিয়ান সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে ক্ষমতাচ্যুত আসাদ ওই বিমানে ছিলেন।
বিমান দুর্ঘটনায় আসাদ নিহত হতে পারেন।
ওপেন-সোর্স ফ্লাইট ট্র্যাকার থেকে জানা যাচ্ছে, দামেস্ক ছেড়ে যাওয়া শেষ বিমানটি ছিল একটি ইলিউশিন-৭৬ প্লেন, যার ফ্লাইট নম্বর ছিল সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮। ধারণা করা হচ্ছে, এই উড়োজাহাজটি আসাদকে বহন করছিল। এটি বিদ্রোহীরা বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঠিক আগে উড্ডয়ন করে। এটি প্রথমে পূর্বদিকে উড়ে যায় এবং পরে উত্তর দিকে মোড় নেয়, কিন্তু হোমসের ওপর দিয়ে চক্কর কাটার সময় এর সিগন্যাল হঠাৎ হারিয়ে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে, যেখানে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। এটি আসাদকে বহনকারী উড়োজাহাজ বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে রয়টার্স ভিডিওটির বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি।
এটি খুবই রহস্যজনক ব্যাপার হয়ে উঠেছে যে, হঠাৎ কেন বিমানটি আশ্চর্যজনক ইউটার্ন নিল এবং মানচিত্রের বাইরে অদৃশ্য হয়ে গেল।
সূত্র: রয়টার্স এবং দ্য গার্ডিয়ান