রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে চার্লস যুক্তরাজ্যের রাজা নির্বাচিত হন। আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় সময় শনিবার ওয়েলবিতে শপথ নেন তিনি। রাজা পবিত্র গসপেলের উপর হাত রাখেন এবং আইন ও চার্চ অব ইংল্যান্ডকে অক্ষুণ্ন রাখার শপথ নেন।
একই সঙ্গে রাজ্যাভিষেক হয়েছে চার্লসের স্ত্রী কুইন কনসোর্ট ক্যামিলারও। ক্যান্টারবুরির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি রাজা চার্লসের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
তিনি ব্রিটেনে পালিত একাধিক বিশ্বাসকে স্বীকার করে বলেছেন, চার্চ অফ ইংল্যান্ড এমন পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করবে যেখানে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে।
তিনি রাজা তৃতীয় চার্লসকে জিজ্ঞাসা করেন যে, তিনি তার শাসনামলে আইন এবং চার্চ অফ ইংল্যান্ডকে সমুন্নত রাখবেন। এরপর রাজা তার হাত পবিত্র গসপেলে হাত রাখেন এবং সকল অঙ্গীকার রক্ষার প্রতিজ্ঞা করেন।
এরপর রাজা তৃতীয় চার্লস দ্বিতীয় শপথ নেন। রাজা তৃতীয় চার্লস যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্র-প্রধান। তবে তার ক্ষমতা প্রতীকী এবং আনুষ্ঠানিক। তিনি রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন। প্রতিদিন ব্রিটিশ সরকারের কাজের রিপোর্ট তার কাছে লাল রঙের চামড়ার একটি বাক্সে করে পাঠানো হয়, যার মধ্যে থাকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বৈঠকের আগে সে সম্পর্কে ব্রিফিং, অথবা কাগজপত্র যাতে তার স্বাক্ষর করা প্রয়োজন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রতি বুধবার বাকিংহাম প্রাসাদে গিয়ে রাজার সঙ্গে দেখা করে তার সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে রাজাকে অবহিত করেন। এসব বৈঠক একান্ত ব্যক্তিগত এবং সেখানে যেসব কথাবার্তা হয় সেগুলোর আনুষ্ঠানিক কোনো রেকর্ড রাখা হয় না।