অন্তর্বতীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই অর্থনৈতিক খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে শ্বেতপত্র তৈরির জন্য একটি কমিটি গঠন করে। শ্বেতপত্র তৈরির জন্য গঠিত সেই কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কমিটি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রেস উইং আরও জানায়, সোমবার (২ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে। জানা গেছে, ২৪টি অধ্যায়ে সন্নিবেশিত হয়েছে দুর্নীতির বর্ণনা। অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরার পাশাপাশি এতে আছে প্রতিবেদনের ভূমিকা, উপসংহার ও অন্যান্য সংযুক্তি।
গত ২৮ আগস্ট দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক চিত্র জানতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল এই কমিটিকে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির আনুষ্ঠানিক নাম ‘বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি’। প্রস্তাবিত শ্বেতপত্রে ৬টি বিষয়ে আলোকপাত করার প্রস্তাব রেখেছিল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। সেগুলো হলো- সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা, বাহ্যিক ভারসাম্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বেসরকারি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান।