নারী ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পথ প্রদর্শক, দেশে ন্যায় বিচার ও সুশাসন-প্রতিষ্ঠা, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের সাহসী যোদ্ধা, মানবিক সংস্কৃতি বিকাশের প্রেরণাদাত্রী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী, জননী সাহসিকা কবি সুফিয়া কামালের ২৫তম প্রয়াণ দিবস বুধবার (২০ নভেম্বর)।
সুফিয়া কামাল যে কোনো সামাজিক অধিকার ও অপচারের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করেছেন। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট মোকাবেলায় তিনি সকলকে একত্রিত করেছেন। তিনি ছিলেন জাতির বিবেক।
তিনি আমৃত্যু দেশের যে কোন সংকটময় মুহূর্তে দেশের জন্য, দেশের জনগণের জন্য কাজ করেছেন। আজকের দিনে কবি সুফিয়া কামালের মত মানুষ জনগণের পাশে একান্ত প্রয়োজন। তাঁর প্রয়াণ দিবসে তাঁকে স্মরণ করার মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানবমুক্তি আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সুফিয়া কামালের জীবন আদর্শ ধারণ করে, চর্চা করে দেশকে অগ্রসর করতে হবে।
তাঁর কর্মময় জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তরুণ প্রজন্মকে সমাজ চেতনা ও আত্মশক্তি সঞ্চয়, আইনের শাসন নিশ্চিত করে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সমতা ভিত্তিক সমাজ ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এই অনন্য সাহসের প্রতীক ও আপসহীন সংগ্রামী নারীর আদর্শ ধারণ করতে হবে।