স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। প্রভাব বিস্তার না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা তাদের আহ্বান জানিয়েছি। এছাড়া সরকার এবং দলের পক্ষ থেকেও তাদের নিষেধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, তারপরেও যদি তারা এই কাজ করেন তাহলে প্রার্থীর যেমন প্রার্থিতা বাতিল হবে। ঠিক একইভাবে ওই মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা জানান ইসি মো. আলমগীর।
ইসি বলেন, আমরা কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, সরকারে যারা সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সভা করেছি। সেখানে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, এমপি ও মন্ত্রীরা কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। কোনো এমপি-মন্ত্রী যদি প্রার্থীর সঙ্গে প্রচার-প্রচারণায় থাকেন, প্রার্থীর সভায় থাকেন অথবা টেলিফোনে বা ভিডিও বার্তা পাঠাচ্ছেন প্রার্থীর পক্ষে সেরকম কিছু হলে আমাদের যে আচরণ বিধিমালা রয়েছে তা মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ভোটার উপস্থিতির ক্ষেত্রে আপনারা দেখেছেন, গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে যে নির্বাচন হয়েছে সেখানে এই তীব্র গরমের মধ্যেও কোনো কোনো কেন্দ্র ৭০ ভাগ, কোনো কোনো কেন্দ্রে ৮০ এবং ৬০ ভাগ ভোটার উপস্থিতি হয়েছে। মানুষের মধ্যে আস্থা এসেছে যে এখন ভোট দেয়া যায়। ভোটারা যদি ভালো পরিবেশ পায় তাহলে সব ভোটারা ভোট দিতে আসবে।
এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ, বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর রকিবুল ইসলাম, র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার কেএম শাইখ আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. মোরশেদা খাতুন, রাজবাড়ীর সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সকল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ, গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. অলিউল ইসলাম, জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।