ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সেক্টরের সংস্কারের জন্য ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম দফায় ৬টি কমিশন গঠন হয়। এরমধ্যে নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন তাদের নিজ নিজ কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছেন। বাকি দুটি কমিশন চলতি মাসের ৩১ তারিখ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কমিশন প্রধানরা এসব প্রতিবেদন জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ জানানো হয়।
চারটি সংস্কার কমিশনের প্রধান হলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সরফরাজ হোসেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর বিস্তারিত জানাতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় সংবাদ সম্মেলন রয়েছে।
এসব কমিশন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কমিশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৫ দিন সময় বাড়িয়ে ১৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। অন্যদিকে জনপ্রশাসন সংস্কার ও বিচার বিভাগ কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়ে আওয়ামী লীগ সরকার। ভারতে পালিয়ে যান তখনকার সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন ড. মুহম্মদ ইউনূস। এরপর রাষ্ট্র সংস্কারে গঠন করে ছয় সংস্কার কমিশন। সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।