নোয়াখালীতে চাঞ্চল্যকর অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪) হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে সুধারাম মডেল থানা-পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডে প্রায় ৭ মাসের মাথায় আজ সোমবার কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ্ আলমের কার্যালয়ে সুধরাম মডেল থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ এ অভিযোগপত্র জমা দেন। তার গৃহশিক্ষক আব্দুর রহিম রনিকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। এ সময় সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ্ আলম বলেন, আমরা এখনও কেস ডকেট পুরোপুরি দেখতে পারিনি। শুধু এটুকু বলতে পারি নিহত স্কুল ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতার গৃহশিক্ষক আব্দুর রহিম রনিকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র আমাদের কাছে জমা হয়েছে। আমরা সেটা আদালতে পাঠাব। আগামী ৭ মে এ মামলার দিন ধার্য আছে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ওই গৃহশিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে। তার ডিএনএ ফলাফল, কল লিস্ট এবং অন্যান্য আলামতের উপর ভিত্তি করে এ চার্জশিট জমা দেয়া হয়। এ ঘটনায় ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক আটক ইসরাফিলকে এ মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ বলেন, রনির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী মাইজদী পৌর এরাকার মেস্ত্রী বাড়ির পুকুর থেকে অদিতাদের বদ্ধ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সব স্বাক্ষ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী পৌর এলাকার লক্ষীনারায়ণপুরে নিজ বাসায় খুন হন নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা। একইদিন অদিতার নিজ বাড়ি জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহটি অর্ধনগ্ন, গলা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিলো। ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে পুলিশ তাৎক্ষনিক অদিতার গৃহশিক্ষক আব্দুর রহিম রনিসহ তিন জনকে আটক করে। এ ঘটনায় নিহত অদিতার মা রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর সুধারাম মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।