অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এআইএস) ব্যবহার করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে টার্গেট করে বলে ধারণা করছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেড় মাসে আগে একটি ইরানি মাছধরা নৌযান জব্দ করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ওই ইরানি ফিশিং বোটে থাকা এআইএস প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েই এম ভি আবদুল্লাহর গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য পেতে পারে জলদস্যুরা।
জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ওদের টার্গেট সিলেকশন দুর্বল জাহাজের ওপর। যে জাহাজটা দুর্বল সেটাকেই ওরা ধরে। ওই জাহাজটির গতি কম ছিল, পানি থেকে ডেকের দূরত্ব কম, এসব ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই দস্যুরা অগ্রসর হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আরও অনেক জাহাজ ওই রুটে চলছিল। সেগুলোকে সেফগার্ড দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, মূলত সশস্ত্র রক্ষীরা থাকে। যা এই জাহাজে ছিল না। সাধারণত উপকূলের কাছাকাছি ঘটনাগুলো ঘটে। সে হিসেবে এটা রিস্ক জোনের বাইরে ছিল।
কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন, জাহাজটি দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে সোমালিয়ার উপকূলে নোঙর করা হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। এখন পর্যন্ত দস্যুদের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। নাবিকরা নিরাপদে আছেন। তাদের মুক্ত করার ব্যাপারে কাজ করছি আমরা।
এর আগে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জাহাজের ইন্টারনেট সংযোগও। ছিনিয়ে নেওয়া হয় নাবিকদের কাছে থাকা মোবাইল, সঙ্গে থাকা ডলার।
এদিকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের দ্বারা অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে তাদের আস্তানায় নোঙর করা হয়েছে। সোমালিয়ার গারাকাদ উপকূলের সেখানেই ২৩ নাবিককে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। তবে তাদের সেহরি এবং ইফতারের সুযোগ দিচ্ছে দস্যুরা। যদিও এখনো দস্যুদের পক্ষ থেকে জাহাজের মালিকের কাছে মুক্তিপণ বা অন্য কোনো বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানা গেছে।