• শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

অন্যের ক্রয়কৃত জমি বেদখল অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১০:৪৯ এএম

  • তিনি জমি বিক্রি করে দেন ১৯৭২ সালে। তাঁর ভাতিজারা তাদের অংশ বুঝে না পেয়ে ওই জমি বেদখল করে নেয়। ভুক্তভোগী প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে 


     

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ক্রয়কৃত জমি জোরর্পূবক বেদখলের অভিযোগ ওঠেছে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্বজনদের বিরুদ্ধে।

প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। 

ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ইউসুফ আলী। সে বলিভদ্র ইউনিয়নের কেরামজানি পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত তোমেজ আলীর ছেলে এবং ভুক্তভোগী একই গ্রামের হেলেনা পারভীন। তিনি মৃত মানিক পালোয়ারের মেয়ে। অভিযোগটি দায়ের করা হয় গত ২০ মার্চ।

দায়ের করা অভিযোগ থেকে ও ভুক্তভোগী জানান, ইসপিঞ্জারপুর মৌজার ৪৯১ (সাবেক) নং খতিয়ান, ৩৯ নং দাগে ১৯৭২ সালে সাবকওলায় দুটি দলিলে পৌনে চৌদ্দ শতাংশ জমি ইউসুফ আলী বিক্রি করে মৃত মানিক পালোয়ারে কাছে। দলিল নং- ৭২৪২/৫৯২০। মানিক পালোয়ানের আর কোনো সন্তান না থাকায় সম্পদগুলো দান করে তাঁর মেয়ে হেলেনাকে। কিন্তু ওই জমির মধ্যে পাঁচ শতাংশ জমি জোরপূর্বক বেদখল করে নেয় ইউসুফ আলী ও তাঁর স্বজনরা। বাকি জমিগুলো বেদখলের পায়তারা করেছে তাঁরা। জমিতে প্রবেশ করতে চাইলেই হুমকী প্রদান করে। 

স্থানীয় বসিন্দা চাঁন মিয়া বলেন, ‘ওই জমিটি বিক্রি করে দিলেও বর্তমানে ইউসুফ আলীর সহযোগিতায় তাঁর ভাতিজারা দখল করে রেখেছে। মিমাংশার কথা বললে গুরুত্ব দেয় না ইউসুফ আলী।’

বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতিজা আফজাল হোসেন ও মুনতান আলী বলেন, ‘চাচা আমাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে আমাদের অংশসহ বিক্রি করে। জমি বুঝিয়া চাইলে টালবাহান করে। তাই আমরা জমি দখল করে রেখেছি।’

জমি বেদখলের বিষয়ে জানাতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলীর দাবি, ‘জমিটি আমি বিক্রি করে দিয়েছি। জমি কে দখল করে নিয়েছে জানা নেই। মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমরা স্থানীয়ভাবে মিমাংশার চেষ্ট করেছি। কোনো গুরুত্ব দেয় না বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ 

Tags: