• শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্রে টাকা আত্মসাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১০:৪৯ এএম

সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্রে কাগজ দিয়ে প্রায় ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌর শহরের দেবিপুর (ছোটবান্দ্রা) এলাকার গাজিবুর রহমান ওরফে গাজির পরিবারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।

প্রতিকার চেয়ে গত বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) ভুক্তভোগী মোছা: আনোয়ারা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দুদক, র‌্যাব -১২ টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন দপ্তের এই লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। আনোয়ারা বেগম জামালপুর সদরের  রশিদপুর এলাকার মো. ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। 

ভুক্তভোগী পরিবার, স্বাক্ষী ও অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, আত্মীয়তার সুবাদে পরিচয় হয় গাজিবুর রহমান ওরফে গাজির ছেলে আলমগীর হোসেন হীরার শ্বশুর জুয়েল রানার সঙ্গে। জুয়েল রানা অফলাইনে সেনাবাহিনীতে চাকরি দিবে বলে প্রচার করে তাঁরা। বিষয়টি আনোয়ারা বেগম জানতে পেরে তাঁর ছেলে কাকন মিয়ার চাকরির জন্য কথা বলে গাজির পরিবারের সঙ্গে। গাজির ভাগ্নে হাফিজুরসহ এলাকার বিভিন্ন জনকে স্বাক্ষী রেখে জুয়েল রানা ও গাজির পরিবারকে প্রায় ৭ লাখ টাকা দিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণ করে রাখে ভুক্তভোগী পরিবার।

ওই অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, জুয়েলের কথা মতো কাকন মিয়াকে ঢাকার একটি বাসায় নিয়ে সেনাবাহিনীর ভুয়া অফিসারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। সাদা খাতায় পরিক্ষা নিয়ে কাকনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে জানানো হয় এক মাসের মধ্যে চাকরি হবে। ওই প্রতারক চক্র কাকন মিয়ার ঠিকানায় ডাক যোগাযোগে সেনাবাহিনীর চাকরির নিয়োগপত্র পাঠায়। ঢাকা সেনাবাহিনীর দপ্তরে যোগাযোগ করে দপ্তর থেকে জানানো হয় এটি ভুয়া নিয়োগপত্র। ওই চক্রিটি প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিষয়টি গাজির পরিবারকে জানানো হলে তাঁরা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং এক স্বাক্ষীকে হামলা করে আহত করে তাঁরা। এখন হত্যার হুমকী দিচ্ছে।  

এ ব্যাপরে অভিযুক্ত গাজিবুর রহমান ওরফে গাজির মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘চাকরি প্রত্যাশী কাকন মিয়ার পরিবার জুয়েল রানার সাথে যোগাযোগ করে। আমরা ঔ সময় টাকা দিতে না করে ছিলাম। তবুও তাঁরা টাকা দিয়েছে। টাকা ফেরত পেতে আমার পরিবারকে চাপ দিচ্ছে। এটার মুল হোতা জুয়েল রানা বলে দাবি করেন গাজির পরিবার।’ 

তবে জুয়েল রানার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ধনবাড়ী উপেজলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরপর উপজেলা অনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য বলা হয়েছে।’

Tags: